মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটের সময় কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। নবান্নের তরফে বলা হয়েছে ছ’লক্ষ ৮৯ হাজার ভ্যাকসিন কলকাতায় পৌঁছল আজ। আগামী শনিবার থেকেই শুরু হবে টিকাকরণ।
ভ্যাকসিন আসার পর প্রাথমিকভাবে বাগবাজারে সেন্ট্রাল স্টোরে রাখা হবে ভ্যাকসিন। সেখান থেকে বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন বন্টন শুরু হবে। আজ থেকেই কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলিতে ভ্যাকসিন পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
টিকাকরণের জন্য ছুটি বাতিল করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের। কো-উইন অ্যাপে যাদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে নাম। প্রথম দফায় এসএসকেএম হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এনআরএস হাসপাতালে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। প্রাথমিক স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। জেলা হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীণ হাসপাতালেও হবে ভ্যাকসিন। নিয়োগ করা হয়েছে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের।
বছরের শুরুতেই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন-এ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেয় ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিজিসিআই।এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মনে প্রশ্ন ছিল কবে হাতে আসবে ভ্যাকসিন? ভ্যাকসিন নিয়ে অনন্ত অপেক্ষার অবশেষে অবসান হতে চলেছে।
গতকালই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে ২টি ভ্যাকসিনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, দু’টিই মেড ইন ইন্ডিয়া। আরও ভ্যাকসিন এলে ভবিষ্যতে আরও পরিকল্পনা করা যাবে।” দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ভারতীয় ২টি ভ্যাকসিন বিশ্বের অন্য টিকার চেয়ে সস্তা।’ তিনি বলেছেন, ‘প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, পুলিশকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, গতকালের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, এই ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট নেই তো? জবাবে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দেন, সব দিক খতিয়ে দেখেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর কনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।