ভ্যাক্সিন কেলেঙ্কারির তদন্তের দাবি নিয়ে শুক্রবার আচমকাই সল্টলেকে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে হানা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি তথা সাংসদ ডাক্তার সুভাষ সরকার এবং কলকাতার আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। তাঁরা স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-এর সঙ্গে দেখা করে টিকা কেলেঙ্কারির দ্রুত ও সঠিক তদন্তের দাবি জানালেন।
পরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, এর আগে যতবারই তাঁরা স্বাস্থ্য় সচিবের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন, কোনও না কোনও অজুহাতে সচিব স্বাস্থ্যভবন ত্যাগ করেছেন। তাই এদিন না জানিয়েই এসেছিলেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, একজন ভুয়ো ব্যক্তি ভুয়ো ক্যাম্প চালাচ্ছেন, সেই ক্যাম্পে টিকা নিচ্ছেন শাসক দলের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সেই ব্যক্তিকে উত্সাহ দিচ্ছেন শাসক দলের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তার এত ঘনিষ্ঠতা। তাই দেবাঞ্জনের বিষয়ে শাসক দলের কেউ কিছু জানতেন না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, তিনি ডাক্তার নন, তাই বলতে পারবেন না ভুয়ো টিকা নিয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে কিনা। কিন্তু, যদি কিছু ঘটত, তাহলে বলা হত, নরেন্দ্র মোদীর পাঠানো টিকা নিয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাগড়ি মার্কেট থেকে টিকা কেনার দাবি করেছেন, দেবাঞ্জন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য বিজেপি সন্দেহ করছে, এই ঘটনার পিছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। সম্ভবত নরেন্দ্র মোদী তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে এইসব ভুয়ো টিকাদান শিবিরগুলি পরিচালনা করা হয়েছে।
বিরোধী দলনেতা জানান, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, তাঁদের প্রতিটি কথাই শুনেছেন। তবে তাঁর কিছু করার ক্ষমতা নেই, কারণ তাঁকে শাসকদলের নেতাদের অনুমতি নিতে হয়। পাল্টা স্বাস্থ্য সচিব, কেন্দ্রের শাসক দলের সদস্য হিসাবে বিজেপি বিধায়ক-সাংসদদের বলেছেন, যাতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও বেশি করে টিকা পাঠানো হয় রাজ্যে, সেই ব্যবস্থা করতে। তিনি জানিয়েছেন, দিনে ৫ লক্ষ পর্যন্ত টিকা দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে রাজ্যের, ১০ লক্ষ পর্যন্ত টিকা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাদের দলী সাংসদরা অবশ্যই চেষ্টা করবেন।