করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে জল্পনা দূর হয়েছে। ধাপে দাপে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মীরা। সাধারণ মানুষ কবে ভ্যাকসিন পাবেন, তা নিয়ে অবশ্য মতবিরোধ রয়েছে। এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলারিয়া বলেন চিন্তার কারণ নেই। খুব দ্রুত করোনার ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে। হয়তো চলতি বছরের শেষে বা তার আগেই বাজার থেকে করোনা ভ্যাকসিন কিনে ব্যবহার করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার রণদীপ গুলারিয়াকে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। বাজারে চলে এলে, সেই ভ্যাকসিনের সরবরাহ ও যোগান নিয়ে কোনও সমস্যা থাকবে না বলেই ধারণা এইমস ডিরেক্টরের। এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনার টিকাকরণ পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ভারতে তৈরি করছে পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট। কোভিশিল্ড জরুরি ভিত্তিতে ভারতে প্রয়োগ চলছে। এছাড়াও হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর তৈরি কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগও চলছে দেশে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত করোনার আরও ৩-৪টি টিকা ভারতে প্রয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
ওই টিকাগুলি পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে। প্রথম পর্বে দেশের ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারককে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে আপাতত চিকিৎসক, নার্স-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও দেশের সুরক্ষাবাহিনীকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত গোটা দেশে ৮৭ লক্ষ ২০ হাজার ৮২২ জনের টিকাকরণ হয়েছে। টিকাকরণের ধীর গতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের মতে, যে উদ্যম নিয়ে করোনার টিকাকরণ অভিযান গোটা দেশে শুরু হয়েছিল, সেই তৎপরতায় যেন খানিকটা ভাঁটা পড়েছে। দ্রুত করোনামুক্তির জন্য টিকাকরণের গতি আরো বাড়ানোর সওয়াল করছেন বিশেষজ্ঞরা। টিকাকরণের এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রাজিলের করোনার নয়া স্ট্রেনের হানায় আক্রান্ত একজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ৫ জনকেই বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এই ঘটনা রীতমতো উদ্বেগের কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই পাশাপাশি ব্রিটেনে প্রথম হদিস মেলা করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এদেশে বেড়ে হয়েছে ১৮৭। এঁদের সংস্পর্শে আসা সকলকে পরীক্ষা করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা ইন্ডিয়া টুডে-কে চিকিৎসক স্বপ্নিল পারিখ জানিয়েছেন, B.1.1.7 (ইউকে) ভাইরাস আরও সংক্রমণযোগ্য। খুব সম্ভবত এই ভাইরাস আরও গুরুতর রোগের কারণ হয়। ভারতে এটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে এখনই এদেশে টিকাকরণের গতি বাড়াতে হবে।