করোনার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হয়তো আরও কিছুটা এগিয়ে এগিয়ে যেতে চলেছে দেশ। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার তৃতীয় ভ্যাকসিন হাতে পেতে পারে ভারত। আপৎকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি এর প্রয়োগ নিয়ে বৈঠকে বসছে সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। যদি এই বৈঠকে আপৎকালীন ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুমতি মেলে সেক্ষেত্রে অনুমতির জন্য ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়ায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারাই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দেবে।
ভারতে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের তথ্যও ইতিমধ্যেই সাবমিট করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে স্পুটনিক ভি ৯১.৬ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন – ‘বাংলা জুড়ে ভয়ের পরিবেশ বানিয়েছে তৃণমূল’, ধনেখালির সভায় তোপ নাড্ডার
উল্লেখ্য, দেশে এখনও করোনার টিকাকরণ চলছে। ১৬ জানুয়ারি ২০২১ থেকে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। এখন অবধি দেশে ৬ কোটি ৩০ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রয়োগ টিকা দেওয়ার জন্য দুটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি হল কোভিশিল্ড ও অপরটি কোভ্যাক্সিন। প্রথম দফায় টিকা দেওয়া হয় ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের। এরপর ৬০ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তি ও রোগে ভুগছেন এমন ৪৫ বছরের বেশি ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের ওপর সব মানুষকেই টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন মঙ্গলবার জানিয়েছেন, দেশে আরও সাতটি করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। মঙ্গলবার ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সাতটির মধ্যে কয়েকটি ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল অ্যাডভান্স স্টেজে রয়েছে। এছাড়া দুই ডজনেরও বেশি ভ্যাকসিন প্রাক-ক্লিনিকাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন – ‘নন্দীগ্রামে বহিরাগত গুন্ডারা হুমকি দিচ্ছে’, ভোটের আগের দিন সরব মমতা
ভ্যাক্সিনেশন যেমন একদিকে চলছে তেমন দেশে সংক্রমণ অব্যহত রয়েছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৮০ জন। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৮০ জনের। যা কিনা গত দিনের তুলনায় বেশি।