কসবায় ভুয়ো টিকা প্রতারণা কাণ্ডে এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় সংস্থা যাতে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে চিঠিতে সেই আবেদন করেছেন তিনি। এছাড়া অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপি নেতাদের মতে, তৃণমূলের মদতেই এই কাজ করতে পেরেছিলেন দেবাঞ্জন।
গতকাল সল্টলেকে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে হানা দিলেন শুভেন্দু। ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি তথা সাংসদ ডাক্তার সুভাষ সরকার এবং কলকাতার আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-এর সঙ্গে দেখা করে এই ঘটনার দ্রুত ও সঠিক তদন্তের দাবি জানান।
শুভেন্দু অধিকারী জানান, এর আগে যতবারই তাঁরা স্বাস্থ্য় সচিবের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন, কোনও না কোনও অজুহাতে সচিব স্বাস্থ্যভবন ত্যাগ করেছেন। তাই গতকাল না জানিয়েই সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা। একজন ভুয়ো ব্যক্তি ভুয়ো ক্যাম্প চালাচ্ছেন, সেই ক্যাম্পে টিকা নিচ্ছেন শাসক দলের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সেই ব্যক্তিকে উত্সাহ দিচ্ছেন শাসক দলের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তার এত ঘনিষ্ঠতা। তাই দেবাঞ্জনের বিষয়ে শাসক দলের কেউ কিছু জানতেন না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি, অসংখ্য মানুষ কসবার ওই টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে করোনার টিকা নিয়েছেন। আগামী দিনে এই ঘটনার জন্য তাঁদের যদি কোনও ক্ষতি হয়, তবে তার দায় কে নেবে? সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার জেরে বড় কোনও অঘটন ঘটলে কেন্দ্রকেই দায়ী করত রাজ্য সরকার। তাই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার। দেবাঞ্জন ছাড়া আর কারা এর পিছনে রয়েছেন তা প্রকাশ্যে আসা দরকার।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সন্দীপন দাস। আবেদনপত্রে তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্যে করোনার টিকা নিয়ে চূড়ান্ত অনিয়ম চলছে। তাই এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক।