এবার পশ্চিমবঙ্গেও করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন-এর প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। সম্ভবত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে কোভ্যাক্সিন-এর প্রয়োগ শুরু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। শহর কলকাতার তিনটি হাসপাতাল থেকে এই টিকাকরণ চলবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় এসএসকেএম, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ও স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন থেকে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড-এর প্রয়োগ আগেই শুরু হয়েছে রাজ্যে। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে নির্ধারিত হাসপাতালগুলি থেকে। প্রথম পর্বে করোনা-যোদ্ধাদেরই টিকা দেওয়া হচ্ছে। শহর কলকাতা ছাড়াও জেলাগুলিতে নির্দিষ্ট কেকটি হাসপাতাল থেকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। কোভিশিল্ড প্রয়োগ হলেও হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর তৈরি কোভ্যাক্সিন নিয়ে কিছু প্রশ্নচিহ্ন থেকে গিয়েছে।
তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শেষের আগেই জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন-কে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। এরই মধ্যে দিল্লিতে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা কেভ্যাক্সিনে অনাস্থা প্রকাশ করে তা নিতে অস্বীকার করেন।
যা নিয়ে ঘোরতর অস্বস্তিতে পড়ে যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কোভ্যাক্সিন নিয়ে এখনও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন এখনও রয়েই গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতাও কোভ্যাক্সিন-কে তড়িঘড়ি ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এই আবহেই গত ২২ জানুয়ারি ১ লক্ষ ৬৮ হাজার কোভ্যাক্সিনের ডোজ রাজ্যে এসে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ নিয়ে আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি স্বাস্থ্য দফতর। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রক কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করে।
প্রত্যেক টিকাগ্রহীতাকে সম্মতিপত্রে সই করতে হবে বলে জানায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই মতো তৎপরতা নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিক ঠাক এগোলে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে কোভ্যাক্সিন-এর প্রয়োগ শুরু হয়ে যাবে।