কয়লা পাচার নিয়ে আদালতের নির্দেশ বিকৃত করা হয়েছে। কলকাতার কালীঘাট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলল ইডি। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ওঠা কয়লা পাচার মামলায় আলিপুর আদালতের এক বিচারক একটি রায় দেন। তিনি একটি নির্দেশনামা জারি করেন। তাতে ইডি অফিসার কপিল রাজকে কলকাতা পুলিশের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়। এবং তাঁকে নিজের গলার স্বরের নমুনা তদন্তের প্রমাণ হিসাবে রেকর্ড করে জমা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে, আদালত এও জানায় গোটা প্রক্রিয়া কপিল রাজের সহমতে করতে হবে।
ইডি-র অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের কাছে আদালতের নির্দেশনামার যে প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছিল, তাতে ‘কপিল রাজের সহমতে’র ভিত্তিতে গোটা প্রক্রিয়া সম্পাদনের অংশটি মুছে দেওয়া হয়েছিল! এতে ইডির সন্দেহ হয়। তাঁরা আদালতের ওয়েবসাইটে নিয়ে নির্দেশনামার আসল কপিটা দেখেন। তখনই ‘জালিয়াতি’ ধরা পড়ে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে এক ব্যবসায়ীর কথোপকথনের একটি অডিও টেপ প্রকাশ্যে আসে।
তাতে ওই ব্যবসায়ীকে বলতে শোনা যায়, ‘অভিষেকের কাছে কয়লা খাদানের টাকা আসে৷ তারপরেই আদালতে মামলা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নিম্ন-আদালতে মানহানির মামলাও করা হয়। এরপরেই ওই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য লালবাজারকে নির্দেশ দেয় আদালত৷ এই বিষয়ে লালবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, লালবাজার সূত্রে আংশিকভাবে অভিযোগটি কার্যত মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীকালে কলকাতা পুলিশ কোন পথে এগোবে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউই।