পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়াই ইন্টারভিউয়ে ডাক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ।

বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে। যোগ্য প্রার্থীকে না ডেকে অ্যাপ্লিকেশন পারফরমেন্স ইনডেক্স বা এপিআই সূচকে পিছিয়ে থাকা আবেদনকারীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে এই অভিযোগ সামনে আসে। আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের তরফে একটি কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কী সেই অভিযোগ?

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যাপক নিয়োগের সময় নিয়ম বহির্ভূত কাজ করা হয়েছে বলে তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যোগ্য প্রার্থীদের ইন্টারভিউতে না ডেকে এপিআই সূচকে পিছিয়ে থাকা প্রার্থী ডাক পেয়েছেন বলে অভিযোগ অধ্যাপকদের।

এমনকি পিএইচডি ডিগ্রি না থাকা ব্যক্তিও এই পদে ইন্টারভিউয়ে ডাক পান। মূলত স্বজনপোষণ ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে জুটা। আরও অভিযোগ, নিয়োগের সময় যে বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি হয়েছিল, তাতে মহিলা এক্সপার্ট ছিলেন না, যা ইউজিসির নিয়মের বিরোধী।

আদতে মোট ২ টি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল। সেই পদের জন্য আবেদন করেন মোট ৪ জন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরিরত ২ জন বাকি ২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের। তাঁদের মধ্যে একজনকে নিয়েই অভিযোগ। মূলত জুটার তরফে স্বজন পোষণের অভিযোগ তলা হয়েছে প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান তথা তৃণমূল নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে।

কী বলছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র?

আসল অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু জানাননি ওমপ্রকাশ মিশ্র। তিনি জানান, বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা অবিলম্বে শেষ করতে হবে। ৮ সপ্তাহ পরও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই এই নিয়ে পাল্টা মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কী বলছে জুটা?

জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ওম প্রকাশ মিশ্র যে মামলার কথা বলছেন, সেখানে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছিলেন মামলাটির সারবত্তা ছিল। সুতরাং এ থেকেই বোঝা যায় যে অভিযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানান, পিএইচডি ডিগ্রি নেই এমন একজনকে নিজেই লিখে সার্টিফিকেট দেন ওম প্রকাশ মিশ্র। আবার নিজেই তাঁকে ইন্টারভিউতে ডাকেন। এপিআই তে পিছিয়ে থাকা প্রার্থীকে ডাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.