রাজ্যে করোনা আবহ। এরই মধ্যে বদলি করা হল বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার গৌরব রায়কে (Gaurab Roy)। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁকে উত্তর দিনাজপুরে ডেপুটি সিএমওএইচ (২) এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের নতুন সুপার নিযুক্ত হচ্ছেন দেবাশিস মণ্ডল। কেন আচমকা বদল? সূত্রের খবর, দাবিদারহীন এক মৃতদেহ আর তাকে ঘিরে রাজনীতিই এর কারণ।
সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি লেখেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।তাঁর অভিযোগ, গত ২৮ দিন ধরে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পরে একটি দেহ। পচে তার থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অথচ দেহটি সৎকারের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। বাঘাযতীন হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দেহটি কমল পাত্রের। গত ২৪ মে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে নেতাজিনগর থানার পুলিশ। ২৭ মে বিকেল ৫ টায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপর থেকে দেহটি পরেই ছিল। প্রাক্তন সুপারের দাবি, দেহটি সৎকার প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে বারবার অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। নেতাজিনগর থানা থেকে দাবিদারহীন ওই মৃতদেহ সৎকারের অনুমতি দিলেও মৃতদেহটি সৎকারের কোনও ব্যবস্থা করতে পারেনি হাসপাতাল। শেষ পর্যন্ত মৃতদেহটির গন্ধে হাসপাতালের কাজকর্ম শিকেয় ওঠে।
ঘটনাটি নিয়ে টুইট করেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। সামাজিক মাধ্যমে জানাজানি হতেই পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অবশেষে বেসরকারি এক সংস্থার মাধ্যমে ২৩ জুন দেহটি সৎকার হয়। করোনা হানার মধ্যেই রাজ্যে দাবিদারহীন মৃতদেহ নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বেওয়ারিশ লাশকে শ্মশানে সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হলে করোনায় মৃত ভেবে সৎকারে বাধা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এতদিন ধাপায় দাবিদারহীন মৃতদেহ সৎকার করা হত। এখন সেখানে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দেহের শেষকৃত্য হচ্ছে বলে বেওয়ারিশ দেহ পোড়ানো বন্ধ রয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, দাবিদারহীন মৃতদেহ নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। এমন ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত।