করোনার নতুন স্ট্রেন বা প্রজাতিগুলি যে আগের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রমক সেটা নিয়ে আগেই সাবধান করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেটাই সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে। বিগত এক সপ্তাহে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তাতে স্পষ্ট আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে চলেছে। আনলক পর্ব শুরু হতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে শিথিলতা তৈরি হয়েছে। মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলায় অনীহা রয়েছে সিংহভাগ মানুষের। ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে সমস্যা হচ্ছে না। এই জায়গাতেই সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এখনও যদি সাধারণ মানুষ সতর্ক না হয়, তবে আগামী দিনে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু তাতেও কোনও হেলদোল নেই সাধারণ মানুষের।
এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়ে দিলেন, আগামী একমাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ভি কে পাল জানিয়ে দিলেন, দেশে সংক্রমণের হার যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী, তাতে আগামীদিনে দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়বেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও নীতি আয়োগের বৈঠক হয়। তাতে ঠিক হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি আরও বৃহৎ আকারে করার। দ্রুততার সঙ্গে সকলকেই করোনার টিকার আওতায় নিয়ে আসতে চাইছে কেন্দ্র। মূলত ১৮ বছর থেকে প্রত্যেককেই যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় তার কর্মসূচি দ্রুতই গ্রহণ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ৮ এপ্রিল ফের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে বসছেন। সেইদিনই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।