ভারতে নব্য করোনা আবির্ভুত হওয়ার পরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। ঘরে ঘরে সংক্রমণ ঢুকে পড়ছে। এই নয়া স্ট্রেন অনেক বেশি সংক্রমণ ছড়ায় তার প্রমান প্রতিদিনের অবস্থান। কিন্তু বিজ্ঞানীরা অবশেষে একটি বিষয়ে সহমত হতে পেড়েছেন যে, এই করোনা ভাইরাসের মারণ শক্তি অনেক কম অন্তত গত বছরের তুলনায়। দেখা যাচ্ছে সংক্রামিতের মধ্যে মৃত্যু হচ্ছে মাত্র ১.১২ শতাংশের। এই পরিসংখ্যানই ‘আশার আলো’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠছেন। অর্থাৎ মৃত্যুর হার ১ শতাংশের সামান্য বেশি।
মৃত্যু সংখ্যা রোজ খবরে দেখে যারা আতঙ্কিত হচ্ছেন তাদের জানানো হচ্ছে, যাদের মধ্যে বহু রোগ বা কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদেরই সমস্যা বেশি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে সকলেরই মৃত্যু হচ্ছে, যথা মদন মিত্র। মদনবাবু এখন বেশ ভালো আছেন। তবে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে কারণ একবার করোনা হলে ফের ৬ মাস বাদে রোগ ফিরে আসতে পারে। ১০ হাজারেরও বেশি আক্রান্তের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ মানুষের মধ্যে দীর্ঘ অ্যান্টিবডি তৈরী হচ্ছে বাকিদের হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামগ্রিকভাবে সংক্রমণের হার (দৈনিক সংক্রমণ) বেশি হওয়ায় মৃত্যুর হারও বেশি হচ্ছে। এমনকি চলতি বছরের এপ্রিলের পর থেকে ভারতে করোনার হটস্পটের মধ্যেও একটা স্থিতাবস্তা দেখা যাচ্ছে। যেমন মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং ছত্তিশগড়ে করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছে গিয়ে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ সংক্রমণে স্থিতাবস্তা চলে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ছাড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ, মৃত্যুর হার ১.১২ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতেও দেশে সুস্থতার হার (ডিসচার্জ রেট) পৌঁছে গিয়েছে ৯৮.৮৮ শতাংশে।