লকডাউনের পর থেকে বন্ধ ছিল শুটিং। তবে নানা টানাপোড়েনের পর আবার ‘নিউ নর্মাল’ জীবনে ফিরেছে টলিপাড়া। আবারও অ্যাকশন, লাইট, সাউন্ডের মতো চেনা শব্দ শোনা যাচ্ছে সেখানে। তবে সেই জগতেই ফের হানা করোনার (Coronavirus)। সূত্রের খবর, এবার অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত ‘কৃষ্ণকলি’র অশোক অর্থাৎ ভিভান ঘোষ, ‘কনে বউ’-এর মাহি অর্থাৎ নেহা আমনদীপ, ‘সিংহলগ্না’র মেক আপ আর্টিস্ট দীপঙ্কর রায়। এছাড়া বিভিন্ন ধারাবাহিকে কর্মরত আরও ১১ জন কলাকুশলীর শরীরেও করোনা থাবা বসিয়েছে বলেই খবর।
১৩ নম্বর স্টুডিওতে চলছে ‘কৃষ্ণকলি’র শুটিং। সেখানে যতটা সম্ভব কোভিড বিধি মেনে আর পাঁচজনের মতো শুটিং করছিলেন ভিভান। কিন্তু তাও করোনাকে রোখা গেল না। জানা গিয়েছে, গত ২১ জুলাই জ্বর আসে তাঁর। নিছক সন্দেহের বশেই পরীক্ষা করান। তাতেই জানা যায় ভিভান করোনা আক্রান্ত। আপাতত শুটিং বন্ধ রেখেছেন তিনি। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবে কাজ শুরু করবেন।
প্রায় একই অবস্থা ‘সিংহলগ্না’র মেক আপ আর্টিস্ট দীপঙ্করেরও। তাঁর গত ১৬ জুলাই জ্বর আসে। ওষুধ খেয়ে ২০ জুলাই ফের স্টুডিওয় আসেন। কিন্তু গন্ধ এবং খাবারের স্বাদ চলে গিয়েছিল। তাই কিছুটা ভয় পেয়ে যান দীপঙ্কর। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনিই পরামর্শ দেন কোভিড পরীক্ষা করানোর। তারপরই জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। আপাতত হোম আইসোলেশনে দীপঙ্কর। ইতিমধ্যেই তনুকা চট্টোপাধ্যায়, কন্যাকুমারী চন্দ এবং সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেক আপ করেছিলেন দীপঙ্কর। তাই তাঁরাও আর শুটিংয়ে যোগ দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না।
এদিকে, গত বুধবার করোনা আক্রান্ত হন ‘কনে বউ’-এর মাহি অর্থাৎ নেহা। কোনও উপসর্গ না থাকায় গত রবিবার পর্যন্ত শুটিং করেছেন তিনি। নেহার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরই সোনালি চৌধুরি আপাতত শুটিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর আবার শুটিংয়ে ফিরবেন বলেই জানান তিনি। একের পর এক শিল্পীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে টলিপাড়ার অন্দরে বাড়ছে আতঙ্ক। কোভিড বিধি মানার ক্ষেত্রে কী কোথায় কোনও ফাঁক থেকে যাচ্ছে, উঠছে সেই প্রশ্ন।