করোনা ভ্যাকসিন নিতে ৫০ উর্ধ্বদের নাম নথিভূক্তকরণ কলকাতা পুরসভার

৫০ উর্ধ্বদের নাম নথিভূক্তকরণ শুরু করছে কলকাতা পুরসভার৷ যারা করোনা টিকা নিতে ইচ্ছুক,তারা আগামীকাল সোমবার থেকে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে৷

কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানালেন, আগামীকাল সোমবার থেকে চেতলার মেয়রস ক্লিনিকে ৫০-এর ওপর ব্যক্তিদের নাম নথিভুক্ত হবে৷ এরপর বাকি চারটি টিকাকরণ কেন্দ্রেও নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন ৫০ উর্ধ্ব ব্যক্তিরা৷ তবে কবে থেকে তারা করোনা টিকা পাবেন, তা নির্ভর করছে কেন্দ্রের অনুমতির উপর৷

তিনি আরও বলেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে৷ আমি তাদের বলেছি, ৫০ উর্ধ্ব ব্যক্তিদের নামের তালিকাসহ কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাতে ৷ যাতে তাড়াতাড়ি কেন্দ্রের অনুমোদন পাওয়া যায়৷ তার আগের ধাপগুলো কলকাতা পুরসভা প্রস্তুত করে রাখছে৷ যাতে কেন্দ্রের ছাড়পত্র এলেই বয়স্কদের টিকাকরণ শুরু করা যায়।

এই মূহুর্তে রাজ্যে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা যেমন ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে৷ এরপর পুলিশ ও প্রশাসনের যারা করোনাকালে সামনের সারিতে থেকে কাজ করেছেন, তাদের টিকা দেওয়া হবে৷ তারপর সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে৷ এমনটাই সূত্রের খবর৷ এদিকে করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের পর রাজ্যে এসেছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন৷

তার আগে দু’ দফায় রাজ্যে এসেছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড৷ কোভ্যাকসিনও মজুত রাখা হয়েছে বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোরে। তবে এই ভ্যাকসিন রাজ্যে কোন তারিখ থেকে দেওয়া শুরু হবে৷ এবং কাদের কিভাবে দেওয়া হবে তা কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আলোচনা করে ঠিক করবে৷

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও কোভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমোদন রাজ্য পায়নি৷ কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডে দুটো ভ্যাকসিনেরই সম্মতি দিয়েছে ডিজিসিআই। এই দুই ভ্যাকসিনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন দেশের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন, যা অনুমোদন পেয়েছে।

এর আগে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডিসিজিআই জানিয়েছিল কোভিশিল্ড ৭০ শতাংশেরও বেশি নিরাপদ। দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা যাবে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে। সম্পূর্ণ দেশীয় গবেষণায় তৈরি করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন (Covaxin)।

হায়দরাবাদের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক’ ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ -ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে৷ পাশাপাশি ভারতের পুণেতে অবস্থিত সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করছে।

জানা গিয়েছে, ১২ বছরের উপর বয়স হলে তবেই নেওয়া যাবে কোভ্যাক্সিন। ডিজিসিআই-এর তরফে এমন অনুমোদনই দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে অনুমোদন মিলেছে ১৮ বছরের উপর।দুটি টিকার ক্ষেত্রেই দুটি করে ডোজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.