মঙ্গলবারই কলকাতায় পৌঁছেছে করোনার ভ্যাক্সিন কোভিশিল্ড। গতকাল থেকেই কলকাতা ও জেলাগুলিতে ভ্যাক্সিন বণ্টন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতভর দফায়-দফায় জেলাগুলিতে ভ্যাক্সিন বণ্টন করা হয়। গতকাল পুমের সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড এসে পৌঁছেছে বাংলায়।
জানা গিয়েছে, ১০ লক্ষ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন এসেছে রাজ্যে৷ এর মধ্যে বাংলার জন্য ৭ লক্ষ ডোজ ভ্যাক্সিন৷ ৩ লক্ষ ডোজ পাঠানো হয়েছে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে৷ মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় পাঠানো শুরু হয় ভ্যাক্সিন৷ কলাকাতার জন্য়ই সবচেয়ে বেশি ভ্যাক্সিন বরাদ্দ হয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতার জন্য রাখা হয়েছে ভ্যাক্সিনের ৯৩ হাজার ৫০০টি ডোজ।
কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৪৭ হাজার ৫০০ করোনার ভ্যাক্সিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। একইভাবে মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩৭ হাজার ৫০০ করোনার ভ্যাক্সিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে এই ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে৷
ইতিমধ্যেই করেনাার ভ্যাক্সিনের জন্য ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ হাসপাতালে যে সব স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন, তাঁরাই প্রথমে টিকা পাবেন। সেই সংখ্যাটা প্রায় ৬ লক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় করোনা ভ্যাকসিন৷ পুণে থেকে স্পাইস জেটের কার্গো বিমানে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হয় কলকাতায়৷
শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ৷ কিন্তু কী ভাবে চলবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া? এই বিষয়ে বুধবার বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্যভবন চত্বরে বৈঠকে বসছে রাজ্য৷ বিকেল ৪টেয় বৈঠক হওয়ার কথা৷ জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবে রাজ্যের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালের সিইও৷ এই বৈঠকেই টিকাকরণের সম্পূর্ণ রূপরেখা তৈরি করে নেবেন তাঁরা৷ গতকালই রাজ্যে কেভিশিল্ডের ১০ লক্ষ ডোজ রাজ্যে এসে পৌঁছেছে৷
প্রথম পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদেরও টিকাকরণ হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুলিশকর্মীদের এবং তৃতীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি রাজ্যের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির চিকিৎসক সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাকরণের বন্দোবস্ত রাজ্য সরকারের তরফেই করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷