সিদ্ধা ওয়াটার ফ্রন্ট, পাতুলিয়া, উঃ ২৪ পরগণা: আবাসিকদের প্রায় সবার মধ্যে ক্ষোভ ও একাংশের মধ্যে তার স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ ছিল। বিখ্যাত রিয়েল এস্টেট বিল্ডার সিদ্ধা গ্রুপ-এর রহড়ার কাছে পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ২০০০ ফ্ল্যাটের বিশাল আবাসন “সিদ্ধা ওয়াটার ফ্রন্ট” প্রকল্পের প্রথম দফার কাজ শেষ ও সম্পত্তি হস্তান্তরিত। রেজিস্ট্রিও হয়ে গেছে। ক্ষোভের কারণ ফ্ল্যাট মালিকদের ফ্ল্যাট হস্তান্তরিত এমনকি রাজ্য সরকারকে যথোপযুক্ত মূল্য দিয়ে রেজিস্ট্রি করানোর পরেও সুইমিং পুল, ক্লাব হাউস, খেলার কোর্ট, জগিং ট্র্যাক ইত্যাদি প্রতিশ্রুত সুবিধা তো দূর, সিসি টিভি ইন্টারকমের মতো অত্যাবশ্যিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাগুলিও লাগানো বা চালু করা হয়নি। এমনকি ২-৩ লাখ টাকায় বিক্রি ও রেজিস্ট্রি করানো মাল্টি লেভেল কার পার্কিং-ও তৈরি করে উঠতে পারেনি সিদ্ধা। চার দফায় সম্পূর্ণ হওয়ার পর সবকটি সুবিধা পাওয়া যাবে, বিল্ডারদের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। তাছাড়া দেওয়াল থেকে মেঝে কাজের মান নিয়েও প্রচুর অভিযোগ। ক্ষুব্ধ দ্বিতীয় ফেজ়ে যাঁদের পোজ়েশন পাওয়ার কথা তাঁরাও।
গত ২০১৯-এর নভেম্বর থেকে সুবিধাগুলির জন্য কমন এরিয়া মেইনটেনেন্স চার্জ লাগু করায় আবাসিকদের একাংশ বিক্ষুব্ধ। প্রশ্ন রয়েছে মিটার ছাড়া গণনার ভিত্তি না দর্শিয়ে ইলেকট্রিক বিল দেওয়া নিয়েও। আইনি পথে সুবিচার পাওয়ার কথাও ভাবছেন কেউ কেউ। এইসব কারণে এবং বিগত পুজো, পার্বণ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে আবাসিকদের মধ্যে কিছু মতবিরোধ রয়েছে।
এরই মধ্যে আবাসিকরা মূলত বিভিন্ন হোয়াস্অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্যে আড্ডা ও বিডিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালন করে থাকেন, যার মধ্যে ছিল লকডাউন কালে ভার্চুয়াল রবীন্দ্রজয়ন্তী ও নজরুল জয়ন্তী পালনও। তাছাড়া পুজোর সময় নানা অসুবিধা ও টানাপোড়েনের মধ্যেই গড়ে ওঠে “ঝংকার” নামে একটি সাংস্কৃতিক (মুখ্যত গানের) দলও। এক পরিচিত সাহিত্যিকও (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) আবাসিক হিসাবে এইসব কর্মকাণ্ডে যুক্ত।
করোনার কারণে জারি হওয়া লকডাউনে আপাতত নির্মাণের কাজ স্থগিত। কিন্তু চালু আছে কিছু ন্যূনতম পরিষেবা। যে আবাসিকরা নিজেদের প্রাপ্য সুবিধা না পেয়ে উচ্চ হারে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ দেওয়া নিয়ে অখুশি, তাঁরাই অনেকে মুক্ত হস্তে দান করে, টাকা সংগ্রহ করে লকডাউন কালে পরিষেবা দেওয়া বিল্ডার নিযুক্ত প্রতিটি কর্মীর হাতে কিছু আর্থিক অনুদান তথা জজুরি সামগ্রী তুলে দেন। মতবিরোধ সরিয়ে রেখে ওয়াটার ফ্রন্ট আবাসনের বসবাসকারী কিছু আবাসিক তো বটেই, এমনকি যাঁরা এখনও সেখানে থাকা শুরু করেননি তাঁদেরও কেউ কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
এই বিপত্তির মধ্যে আমফান ঘূর্ণিঝড় এসে কার্যত দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপূর ও হাওড়ার কিয়দংশ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দিয়ে যায়। এই সময় পুনরায় ত্রাণের প্রস্তাব উঠলে আবাসিকদের অনেকেই সামন্য দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, কারণ কিছুদিন আগে লকডাউনের জন্য ইতিমধ্যে অর্থ সাহায্য করতে হয়েছে। তবু শুরু হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা, যদি কিছু জামাকাপড় ও অর্থ দেওয়া যায় দুর্গত মানুষগুলোর জন্য। কিন্তু আর্থিক অনুদান নিতে আগ্রহী হলেও করোনার আবহে পুরোনো জামা কাপড় নিতে অস্বস্তি দেখা যায় স্থানীয় এলাকায়। শেষ পর্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলে ত্রাণ বিলির জন্য পুরোনো কিন্তু ভালো ব্যবহারযোগ্য পোশাক নিতে সম্মত হয় রাজারহাট, নিউটাউনের রামকৃষ্ণ মিশন।
মূলত সিদ্ধাসৃজন নামে একত্রিত কিছু মানুষের সক্রিয়তায় আবাসনের প্রকাণ্ড লনে চাদর বিছিয়ে ২৬ তারিখ থেকে শুরু হয় জামা-কাপড় ও অর্থ সংগ্রহ করা, যা ২৮ তারিখ বৃষ্টির জন্য একটি হলঘরে স্থানান্তরিত হয়। সেই বৃষ্টি মাথায় করেও ছুটে যান কেউ কেউ। দূরবর্তী ফ্ল্যাট মালিক যাদের পক্ষে আবাসনে বসবাস বা শারীকরিকভাবে এসে পৌঁছনো সম্ভব নয়, তাঁরাও দ’একজন সহ আবাসিকের অ্যাকাউন্টে ত্রাণের উদ্দেশ্যে টাকা পাঠিয়ে দেন।
এখন নিজেদের উদ্বৃত্ত পোশাক আশাক শুধু দিয়ে দিলেই হল না। মহারাজের নির্দেশমতো সেগুলো ভালো করে ভাঁজ ও ইস্ত্রি করে, সব গুণেগেঁথে যেন কার্টন বাক্সে বন্দি করে রাখা হয় কিছু নারী পুরুষের নিষ্ঠা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে। করোনার আবহে সংক্রমণের ভয়ে পুরোনো পোশাক নিয়ে ছুৎমার্গ করেননি সেই মানুষগুলো। পাশে পাওয়া গিয়েছিল আবাসনের এক ম্যানুয়াল কর্মীকেও।
পোশাকের ধরণ অনুযায়ী বিশদ লিখে সর্ব মোট ৩২টি কার্টন ও নগদ ১৫,৭২০ টাকা ৩০ জুন শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ‘সিদ্ধা ওয়াটার ফ্রন্ট আবাসিকবৃন্দ’-এর তরফ থেকে হরিমায়ানন্দ মহারাজের হাতে তুলে দেওয়া হয়। করোনা বিধ্বস্ত পরিস্থিতি না হলে নগদ অনুদান নিশ্চিত অনেক বেশি হতো।
প্রচার বিমুখ অনুদানকারী ও শ্রমদানকারী উদ্যোক্তারা সকলেই নিজেদের নাম উহ্য রাখতে বলেছেন।
CORONA TO AMPHAN: ANGUISH TO RELIEF
Special Correspondent
Siddha Water Front, Patulia, North 24 Pgs, W.B.: The first phase of SIDDHA WATER FRONT, an enormous housing complex having approval for about 2000 apartments, is finished and second phase is under construction. Most of the residents are unhappy with the reputed real estate builder on multiple issues such as incomplete amenities (clubhouse, swimming pool, play area etc.), quality of construction, non-installation of basic security system like intercom & CCTV and other facilities. Moreover even after handover of flats to the first phase owners and subsequent registration of those, the multi-level car parking which has been sold for 2.5-3 lakhs each is not constructed at all. The builder assured to complete the promised amenities and facilities by the end of fourth phase which is indeed too long to wait.
Under such circumstances owners also find Common Area Maintenance cost charged by the builder as well as electricity bill charged on arbitrary basis without installation of individual meter, unjust. Some of the first and second phase owners are also considering legal intervention to resolve the issues. On this ground and due to some internal discontentment on organising Puja and other festivals or events, residents have difference in opinions among themselves.
However, the owners communicate regularly through What’sApp groups for mutual get-together, cultural activities including virtual celebrations of Rabidra Jayanti and Nazrul Jayanti during lockdown period. A cultural group named JHANKAR has also evolved under all odds during Durga Puja. A well-known Bengali writer (not willing to disclose her name) is also involved in these activities.
Constructions are stopped due to lockdown. Yet some basic services are on. The residents including those who are fighting against the unjust charges imposed by the builder have now come forward to raise fund and give some monetary support and ration to the service providers employed under SIDDHA. Some currently non-resident owners also extended their help.
In this difficult situation Super Cyclone AMPHAN has totally disrupted districts like North & South 24 Parganas, Kolkata, portion of East Medinipur and western Howrah. When proposal for relief to help cyclone struck areas was made, many residents were hesitant since they had just made contributions for Corona Lockdown. Yet volunteer organizations have been contacted to send clothing and money to the affected people. Finally R.K. Mission of Newtown, Rajarhat agreed to accept the relief.
Initiative taken primarily by a group, namely SIDDHA-SRIJAN, gathered old garments and a small fund contributed by many of the flat owners directly or via bank account of fellow residents. Some ignored heavy shower to reach with their contribution and service. Despite heavy rain fall and potential threat of Covid-19 infection all arrangements like sorting, ironing, matching and finally packing were neatly done due to spontaneous participation of some active members. A manual staff also assisted in the noble cause.
Total 32 cartons with proper details and a sum of Rs. 15,720 were handed over to Maharaj Harimayananda of Mission on 30th June at about 9 am on behalf of SIDDHA WATER FRONT ABASIKBRINDA.
Name of the organisers are not mentioned as per their wish as they don’t want publicity.
স্থানীয় প্রতিনিধি