পরীক্ষার হলে অঙ্ক মুখস্থ করে গিয়ে আগে উত্তর বসিয়ে পরে গড়মিল করে অঙ্ক মেলানো ছাত্রদের মতো অবস্থা এখন রাজ্য সরকারের (State Government)। করোনা (corona)নিয়ে সরকার প্রকাশিত তথ্য গড়মিলে প্রসঙ্গে এমন ভাবেই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার( (Sukant Majumdar)। পশ্চিমবঙ্গের (west bengal)করোনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান সম্বলিত যে তথ্য ৪ মে রাজ্য সরকার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তাতে আবারও হিসেব গড় মিলের অভিযোগ করলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
রাজ্য সরকার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে কালিম্পং জেলার করোনা সংক্রান্ত যে হিসেব দেওয়া হয়েছে তা কোনো ভাবেই মিলছে না বলে জানিয়েছেন সাংসদ। নিজেরাই নিজেদের দেওয়া হিসেব মেলাতে গিয়ে তথ্যের গড়মিল করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্তবাবু। টুইটারে বিষয়টি একেবারে চিহ্নিত করে তুলে ধরেছেন তিনি।
সাংসদ বলেন, রাজ্য সরকার প্রকাশিত তথ্যে কালিম্পং জেলার ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে ওই জেলায় করোনার মোট কেস সংখ্যা ৭। মৃত ১, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে ৬ জন। সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা যোগ করলে মোট সংখ্যা যে ৭ সেই হিসেব মিলে যাচ্ছে। অর্থাৎ অঙ্ক এখানে মেলানো হয়েছে। কিন্তু ওই রিপোর্টে শেষে দেখা গেছে লেখা রয়েছে ওই জেলায় শেষ করোনা রিপোর্টে কেসের তারিখ ২ মে। আর রাজ্য সরকার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ৪ মে। এখানেই সাংসদ প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে লাস্ট রিপোর্টেড রোগী এখন কোথায়? সে তো দু’দিনে করোনা মুক্ত হয়ে যাবে এমনটা সম্ভব নয়।
এই বিষয়টিকে তুলে ধরেই সুকান্ত বাবু বলেন, আবার একবার ধরা পড়ল যে সত্য ঢাকতে গিয়ে হিসেবের গড়মিল করে ফেলছে রাজ্য সরকার। নিজেদের দেওয়া হিসেবে নিজেরাই মেলাতে পারছে না। সাংসদ বলেন, এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার অবস্থা আবার প্রকাশ্যে এসেছে।