করোনায় আক্রান্ত। তাই আর হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হবে না। এই আশঙ্কাতেই আত্মঘাতী হলেন কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ভরতি এক রোগী। রাজ্যে এই প্রথম হাসপাতালে ভরতি থাকা কোনও করোনা রোগী আত্মঘাতী হলেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।
জানা গিয়েছে, ৩৮ বছর রাজকুমার বেরা নামের ওই রোগী কাকদ্বীপের বাসিন্দা। চিকিৎসার জন্য এনআরএস (NRS) হাসপাতালে এসেছিলেন। গত ২৬ আগস্ট হেমাটোলজি বিভাগে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। এরপর ৩১ আগস্ট থেকে তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। শরীরে কোভিডের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় করোনা পরীক্ষা (Corona test) করা হয় তাঁর। আর সেখানেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে রাজকুমার বাবুর। হাসপাতালের দাবি, তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন তিনি। আদৌ এই মারণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব কি না, ভেবে কূল পাচ্ছিলেন না। আর রবিবারই চরম সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেন।
হাসপাতালের চেষ্ট স্পেশ্যালিস্ট বিল্ডিংয়ে কোভিড ওয়ার্ডে ছিলেন তিনি। তিনতলার একটি ঘরে ভরতি ছিলেন। এদিন সকালে তাঁর বাথরুমের দরজা বেশ খানিকক্ষণ ধরে বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা মেলে রাজকুমারের। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ইতিমধ্যেই রোগীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এই প্রথম রাজ্যের কোনও হাসপাতালে কোনও করোনা রোগী আত্মঘাতী হলেন। এর আগে গত ৮ আগস্ট কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। বেড ছেড়ে দীর্ঘক্ষণ কার্নিশে বসেছিলেন তিনি। তবে ঠিক সময়ে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু রাজকুমার বেরাকে রক্ষা করা সম্ভব হল না।