মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি৷ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেই পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হবে৷ বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে একথাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷
পিছিয়ে গিয়েছে সিবিএসসি ও আইসিএসসির দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা। এর মধ্যেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ে সেফ হোম করা হবে। সেইমতো প্রত্যেক জেলা শাসককে নির্দেশ দেওয়াও হয়েছে। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কীভাবে হবে রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা? তা নিয়ে নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে৷
করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পর বৃহস্পতিবার শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব নেন ব্রাত্য বসু। তারপরই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং উচ্চ শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে ডাকা করা হয়। বৈঠকে থাকবেন স্কুলশিক্ষা সচিব মণীশ জৈনও। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন স্তরে যে আলোচনা হয়েছে৷ তারপরই রাজ্যের নতুন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেই পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হবে৷
প্রসঙ্গত, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা আগামী ১ জুন থেকে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা আগামী ১৫ জুন। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন জুন মাসে রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যে আগামী এক পক্ষ কিছু কঠোর বিধি জারি হয়েছে। তাই জুনের প্রথমার্ধে মাধ্যমিক ও দ্বিতীয়ার্ধে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না।শিক্ষা দফতর পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরে এই দুই পরীক্ষার দিনক্ষণ ঠিক হবে। ”
বর্তমানে ট্রেন চলাচল বন্ধ। করোনা পরিস্থিতিতে বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে যাতায়াতের সমস্যাও থাকছে। এছাড়াও জেলায় জেলায় উত্তরপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে লোকাল ট্রেনই বড় ভরসা পর্ষদের৷ সেই কারণেই এই মুহূর্তে পরীক্ষা সম্ভব নয় বলে মত রাজ্য সরকারের৷
আপাতত মাধ্যমিকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন যে মাধ্যমিক স্থগিত করা হবে নাকি বাতিল হয়ে যাবে। এদিন শিক্ষামন্ত্রীও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দিন ঘোষণা করা হবে৷