পাড় ভাঙছে বাড়ছে আতঙ্ক। ধেয়ে আসছে ভাগীরথী। গ্রাস করছে সবকিছু। ভাঙনের আতঙ্কে কাঁপছে জেলার কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী দুই নম্বর ব্লকের দক্ষিণ ঝাউডাঙ্গা ও গঙ্গাপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
পুজো আসে পুজো চলে যায়, কিন্তু আতঙ্ক পিছু ছাড়ে না। ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা ভাঙনের কারণে গত কয়েক বছরে ভিটে ছেড়ে পিছোতে পিছোতে গ্রামের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছেন। বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করা হলেও জলের তোড়ে সেসব তলিয়ে গিয়েছে।
অভিযোগ, প্রশাসনের কোনও নজর নেই তেমন। ভাঙন রোধে যথেচ্ছ টাকার নয়ছয় হয়েছে। এতে আখেরে লাভ হচ্ছে না কিছুই। তাই গ্রামবাসীরা বোল্ডার দিয়ে আধুনিক উপায়ে নদী ভাঙন আটকানোর দাবি তুলেছেন।
কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী দুই ব্লকের ভাগীরথী নদীর পারে ঝাউডাঙ্গা ও গঙ্গাপুর গ্রামে প্রায় ১৮০০ জনের বসবাস। কৃষি নির্ভরশীল বাসিন্দাদের কারো একবার, কারো দুবার, কারো আবার তিনবার ভাঙনের কবলে চোখের সামনে বাড়ি চলে গিয়েছে ভাগীরথীর বুকে। নদী গিলে নিয়েছে আয়ের একমাত্র সম্বল চাষের জমি।
চলতি মরশুমে সেইভাবে বর্ষা না হলেও ভাঙন হয়েছে। ফলে দুই গ্রামের মানুষরা ফের চিন্তায় নতুন করে ভিটে হারানোর ভয়ে। পুজোর মুখেই শুরু হয়েছে ভাঙন। উৎসবের আনন্দের মধ্যেও ভাঙন আতঙ্কের ছায়া।
প্রতিবছরই ভাঙনের আগে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য প্রশাসনের তরফে সাময়িকভাবে কাজ শুরু হয়। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। কিছু সংখ্যক বালির বস্তা ফেলে এ বছর শুরু হয়েছে ভাঙন রোধের কাজ। তবে এই বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধ করা যাবে না বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের মতে, একটু জল বাড়লেই জলের তলায় হারিয়ে যাবে বস্তা।
তারা জানিয়েছেন, জেলাশাসক ও সাংসদকে জানিয়ে কোনও স্থায়ী সুরাহা হয়নি। কবে ভাঙনের আতঙ্ক থেকে স্থায়ীভাবে রেহাই পাবেন সেই সময়ের অপেক্ষায় সরকারের দিকে তাকিয়ে নদী পাড়ের দুই গ্রামের বাসিন্দারা।