সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী’কে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। অবশেষে সেই মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সিবিআইয়ের হাত ধরে মামলা গিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। আর সেখানেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রের পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে তিনি বলেন, এই রাজ্যে ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে বাধা দেওয়া হয়।
তাঁর দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক অরাজকতা চলছে।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী’কে এয়ারপোর্টে ধরার সময় ঠিক কী ঘটেছিল, সেটা বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি। যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে স্ত্রী’র বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন অভিষেক। তবে, সলিস্যিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা কীভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে, সেটাই আদালতের গোচরে আনতে চান তিনি।
News18-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি বলেন, ‘কলকাতা এয়ারপোর্টে ওই মহিলাকে ধরা হয়েছিল। তাঁর লাগেজও চেক করা হয়। তিনি একজন সাংসদের স্ত্রী’ও বটে। এসবের মধ্যে হঠাৎ স্থানীয় পুলিশ ঢুকে পড়ে ও শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের কাজে বাধা দেয়।’
সুপ্রিম কোর্টের তরফে তুষার মেহতাকে একটি আবেদন করতে বলা হয়েছে। তবেই ব্যবস্থা নিতে পারবে সুপ্রিম কোর্ট।
সলিস্যিটর জেনারেল তুষার মেহতা অভিযোগে আরও জানিয়েছেন যে, সাংসদের স্ত্রী’কে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়াই নিয়ে যায় পুলিশ।
রাজ্যের তরফের আইনজীবী আভিষেক মনু সিংভি বলেন, কেন্দ্র নেহাতই সংবাদমাধ্যমকে হেডলাইন দেওয়ার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করছে।
গত ২৪ মার্চ সোনাপাচারের বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের প্রতি তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সোনা সহ বিমানবন্দরে তাঁর স্ত্রীকে আটক করার খবরের কোনও সত্যতা নেই, এই খবর সম্পূর্ণ বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের চক্রান্ত৷ ভোটের মুখে বিজেপি এই অপপ্রচার চালাচ্ছে৷ কারণ ব্যক্তিগত আক্রমণ বিজেপির সংস্কৃতি৷
সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বিমানবন্দরে সোনাসহ তাঁর স্ত্রীর ধরা পড়ার ঘটনা সত্য নয়৷’ এরই সঙ্গে তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ‘দু’কেজি সোনা সহ ধরা পড়লে, তা বাজেয়াপ্ত কেন করা হয়নি? স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? ৭ দিন পরে কেন এফআইআর করা হল? চৌকিদার কি ঘুমোচ্ছিলেন? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলেই কি এই গাত্রদাহ?’