মহামারী জয় করে আসা ব্যক্তিরাই এবার থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেখভাল করবেন, পাশে থেকে সাহস জোগাবেন – এই ঘোষণা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো কাজও শুরু হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলিতে। অন্যের শুশ্রূষার কাজ বেশ ভালভাবেই করছেন সেসব কোভিড যোদ্ধারা। এমনই দু’জনের দেখা মিলল বেলেঘাটা আইডি (Beleghata ID) হাসপাতালে। আইসিইউ, সিসিইউয়ের রোগীদের দেখভালে ব্যস্ত দু’জন। শুধু বললেন, ”ভয় লাগছে না একদম, অন্যদের সাহস জোগাচ্ছি।”
খুদু শেখ, রাজীব শেখ। পরিচয় ছিল পরিযায়ী শ্রমিক। করোনা(Coronavirus) আবহে তা বদলে গিয়েছে, নতুন পরিচয় – কোভিড যোদ্ধা। কাজ করতেন রাজ্যের বাইরে। লকডাউনে ফিরে করোনায় আক্রান্ত হন। সুস্থও হয়ে ওঠেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো কোভিড ওয়ারিয়রস ক্লাবের সদস্য হয়ে যান এঁরা দু’জন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের সাহায্য করার কাজে নামেন। দিনরাত পিপিই পরে সিসিইউ, আইসিইউয়ে ছোটোছুটি করে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের।
করোনা যুদ্ধে ঠিক কী ভূমিকা পালন করছেন করোনাজয়ী রাজীব আর খুদু? খুদু শেখের কথায়, ”সিসিইউতে যাঁরা ভেন্টিলেশনে রয়েছেন, তাঁদের আমরা দেখভাল করছি। অন্যরাও অনেকেই নিজেদের হাতে খেতে পারছেন না, তাঁদের খাইয়ে দিচ্ছি। কারও উঠে বসার ক্ষমতা নেই। তাঁদের সাহায্য করছি। আর তাঁরা সকলে প্রাণভরে আমাদের আশীর্বাদ করছেন।” আরেক যোদ্ধা রাজীব শেখ বলছেন, ”সবাই যদি রোগটাকে ভয় পান, তাহলে রোগীদের চিকিৎসা কে করবেন? আমরা সবাইকে সাহস জোগাচ্ছি। নিজেরাও ভয়কে জয় করেছি আমরা।” দিনরাত এই কাজের জন্য সরকারি তরফে স্টাইপেন্ডও পাচ্ছেন দু’জন। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে করোনাজয়ী এবং করোনা যোদ্ধা – এভাবেই পরিচয় পালটে পালটে গিয়েছে রাজীব শেখ, খুদু শেখদের মতো আরও অনেকের। এখন তাঁরা মহামারীর কবল থেকে অন্যকে বাঁচানোর মহান কাজে ব্রতী।