রাজ্যে সুস্থতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু তার চেয়েও বেশি উদ্বেগজনক সংক্রমণের মাত্রাটা। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান ফের চিন্তার ভাঁজ ফেলল বঙ্গবাসীর কপালে।
এদিনের স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৪৭৫ জনের শরীরে। যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৬৪৮। তার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল পাঁচ হাজার (৫,১৩৩)। ২৪ ঘণ্টায় শহরে ১৬৩ জনের শরীরে ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। যদিও এর অর্ধেকের বেশিই সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে রাজ্যের অ্যাকটিভ কেস ৪ হাজার ৮৫২। তবে সুস্থতার হার বাড়ছে রোজ। এদিনও যেমন আক্রান্তের তুলনায় করোনাজয়ীর সংখ্যা বেশি। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৪৮৮ জন। কলকাতায় একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯৬ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনাকে হারিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১০ হাজার ১৯০ জন। সুস্থতার হার ৬৫.১২ শতাংশ।
তবে করোনাজয়ীরা যেমন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহস জোগাচ্ছে, তেমনই এখনও এই ভাইরাস কাড়ছে সাধারণের প্রাণ। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি ১৫। যার মধ্যে কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার কামড়ে মৃত ৬০৬ জন। এদিকে, করোনা মোকাবিলায় নিয়মিত চলছে নমুনা টেস্টও। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৪৯২ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৫৮ টি নমুনা টেস্ট হয়েছে রাজ্যে।
কোনওভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না মারণ করোনা ভাইরাসকে (coronavirus)। যতদিন যাচ্ছে, ততই ভাইরাসের কবলে পড়ছেন রাজ্যবাসী। সুস্থতার হার নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক। কিন্তু এভাবে সংক্রমণ ছড়াতে থাকলে তা অদূর ভবিষ্যতে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আর ঠিক এই জন্যই গতকাল সর্বদল বৈঠকের পর রাজ্যে ৩১ জুলাই অবধি লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউন করে সংক্রমণ ঠেকানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের।