পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত পটাশপুর থানার অধীনে, ১০ নং ব্রলালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের চকযোগী নামক গ্রামে রায়ত জমির উপর চকযোগী স্বামী বিবেকানন্দ ইউথ ক্লাব নামে একটি জনকল্যাণ মূলক ক্লাব আছে। ক্লাবের ঘর বাদে কিছু খালি জমি পড়ে আছে। তার পেছনে কয়েক জন ব্যক্তির চাষের জমি আছে। তারা অন্যায় ভাবে ক্লাবের সদস্যদেরকে বেদখল করার উদ্দেশ্যে গত ২১এ জুন, ২০১৯ শুক্রবার দুপুরবেলা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অন্যায় ও অবৈধমতে জে.সি.বি দ্বারা ক্লাবের একাংশের বেড়া ভেঙ্গে দেয়। মাটি খুঁড়ে গর্ত করে। ক্লাবের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার জন্য জে.সি.বি থেকে লোহার রড নিয়ে মারতে আসে। ক্লাবের সদস্যরা পটাশপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের করতে যায়। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঐ সময় কর্মরত পুলিশ আধিকারিক সুশান্ত মান্না থানায় উপস্থিত ছিলেন। সূত্রানুসারে তিনি অভিযোগ পত্রটি হাতে নিয়ে রিসিভড কপি না দিয়েই চলে আসতে বলেন। বর্তমানে এই জায়গাকে কেন্দ্র করে অশান্তির দরুন এগরা প্রশাসনিক ভবনের পক্ষ থেকে ভূমির উপরে ১৪৪(২) ধারা জারি করা আছে। এগরা প্রশাসনিক ভবনে কেস নম্বর ১৬২/২০১৯, দিনাঙ্ক ২৪/৬/২০১৯ রয়েছে। এই কেস থাকাকালীন গত ৫ জুলাই ২০১৯ শেখ মেহবুব খাঁ তার দলবল নিয়ে ক্লাবে ভাঙচুর করতে আসে এবং ক্লাবের ছেলেদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ক্লাবের ছেলেরা তখন থানায় ফোন করে। তখন ক্লাবের ছেলেরা এই কেসের তদন্তকারী আধিকারিক অমৃতবাবুকে বারবার তাঁর মোবাইলে ফোন করা সত্ত্বেও তিনি ফোন ধরেননি। অবশেষে তিনি একবার ফোন ধরে ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে থানার ল্যান্ডলাইনে ফোন করতে বলেন। তাঁর নির্দেশ মেনে ল্যান্ডলাইনে ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি।
সেই দিনই ক্লাবের সদস্যরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। তাদের কথায়, এছাড়া এই অভিযোগের কপি এগরা মহকুমা শাসক, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক, ব্লক ভূমিদপ্তর, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়েছে। তার কপি তাদের কাছে আছে।
তা সত্ত্বেও পটাশপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিক অনন্তবাবু দোষীদের না কিছু বলে ক্লাবসদস্যদেরই ধমক দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত শেখ মেহবুব খাঁ ও তার দলবলের চোখরাঙানিও চলছে।