রাজ্যে আট দফার নির্বাচন আগেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। তখন দেশে করোনার এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। কিন্তু এখন দেশের অবস্থা ভয়াবহ। ইতিমধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো রাজ্যে বড় সভা না করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও ৫০০-র বেশি লোকের অনুমতি দেবে না জানিয়েছে বিজেপি। তবুও, করোনার আশঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে।
রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। আর এমন পরিস্থিতি রাজ্যের নির্বাচনী নির্দেশিকা নিয়ে হাইকোর্তে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। এরপর নির্বাচন কমিশন নড়েচড়ে বসে কড়া নির্দেশিকা জারি করে। কমিশন শেষ দুই দফা ভোটে সমস্ত মিছিল, রোড শো নিষিদ্ধ করল।
চতুর্থ দফার নির্বাচনের পরেই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল কমিশন। এমনকি প্রচারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় কমিয়েও দেওয়া হয়েছিল কমিশনের পক্ষ থেকে। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত সকল রাজনৈতিক দলগুলোই আমল করে। আরেকদিকে, তৃণমূলের তরফ থেকে রাজ্যের বাকি তিনদফার নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবিও তোলা হয়েছিল। কিন্তু কমিশন তাঁদের দাবি সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দেয়।
আর এবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের পর কমিশন নয়া নির্দেশিকা জারি করল। এই নতুন নির্দেশিকায় পদযাত্রা, রোড শো’তে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন। এছাড়াও জনসভাতে যাতে ৫০০-র বেশি লোক না জড় হয়, সেটার দিকেও বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য সপ্তম এবং অষ্টম দফার ভোটের আগে কলকাতায় একটি রোড শো করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদী। এছাড়াও অমিত শাহেরও একটি রোড শো করার কথা ছিল। কিন্তু কমিশনের নতুন নির্দেশিকায় এখন সব বাতিল।