ট্রাক চালকদের সঙ্গে পুলিশের বিবাদ থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হুগলির দাদপুরের মহেশ্বরপুর। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলল দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। নামল র্যাফ। উত্তেজিত ট্রাক চালকরা আগুন ধরিয়ে দিল পুলিশের চেক পোস্টে।
ট্রাক চালকদের অভিযোগ, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে এই মহেশ্বরপুরে প্রকাশ্যে তোলাবাজি চালায় পুলিশ। বড় বাবুরা দূরে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর টাকা তোলে সিভিক পুলিশরা। অভিযোগ, রবিবার সকালে তেমনই একটি ট্রাককে দাঁড় করিয়ে পয়সা চাওয়া হয়। দিতে অস্বীকার করলে, ট্রাক চালককে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরই পিছনে আসা ট্রাকগুলি দাঁড় করিয়ে দেন চালকরা। রাস্তায় নেমে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। উত্তেজিত ট্রাক চালকরা চেকপোস্টে আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে।
পরস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধের ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। অনেকটা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ট্রাক চালকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন এই জুলুমবাজি বেড়েই চলেছে। পঞ্চাশ-একশো টাকাতে এখন সন্তুষ্ট হয় না পুলিশ। পাঁচশো-সাতশোর নীচে নামেই না। না হলেই কেস দিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ডানকুনি থেকে বর্ধমান পর্যন্ত এই জায়গাতেই সবচেয়ে বেশি তোলাবাজি চলে বলে অভিযোগ ট্রাক চালকদের।
পুলিশ যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা একপ্রকার মেনেও নিয়েছেন হুগলি জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তাঁর কথায়, “পুলিশ গাড়ি থামিয়ে টাকা নিচ্ছিল বলে পোলবা দাদপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা শুনেছি।” একই সঙ্গে প্রবীরবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বড় রাস্তায় গাড়িয়ে থামিয়ে টাকা তোলা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই সেটা সরকার ঘোষণা করবে।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রবীরবাবুর কথাতেই স্পষ্ট, গোটা রাজ্যে পুলিশ এই ধরনের জুলুমবাজি চালায়। ফলে পণ্য পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত গাড়ির চালক, খালাসি এমনকী মালিকরাও গোটা বিষয়টিতে বিরক্ত। আন্দাজ করেই হয়তো পদক্ষেপ করার কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী।