সকাল বেলা ভোট শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছিল নানুর সহ বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা থেকে। বেলা বাড়তেই ঝাঁঝ বাড়ল তার। একাধিক গ্রামের মহিলারা অভিযোগ করেন, শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের ভয়ে বুথমুখী হতে পারছেন না তাঁরা। কারণ সকাল থেকেই তাণ্ডব শুরু হয় গ্রামে। বাড়ি বাড়ি ঢুকে চলে হুমকি। ভাঙচুর। এরই প্রতিবাদে বাঁশ লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামেন মহিলারা।
নানুরের বন্দর গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, আজ সকাল থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে হামলা চালায়। ভোট দিতে গেলে ফল ভাল হবে না বলে হুমকি দেয়। তাঁরা বলেন, “ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলেই নকুলদানা খাওয়ানো হবে বলে ওরা হুমকি দিচ্ছিল। আমাদের বাড়িতে ঢুকে সব তছনছ করে দেয়। বাড়ির পুরুষদের মারধর করে। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
এরপরেই একজোট হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন মহিলারা। বাঁশ লাঠি নিয়ে তৃণমূলের একটি ক্যাম্প অফিসে চড়াও হন তাঁরা। ক্যাম্প অফিসটি গুড়িয়ে দেন । তবে শাসক দলের নেতৃত্ব পুরো ঘটনাটাই অস্বীকার করেছে। তাঁদের বক্তব্য, সকাল থেকে বিজেপিই এই এলাকায় সন্ত্রাস করছে। অন্যদিকে গ্রামবাসীদের আরেক অংশের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ভয়েই ভোট দিতে যেতে পারেননি তাঁরা। এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে তেতে রয়েছে গোটা নানুর। বিজেপির তরফ থেকেও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
রামপুরহাটের দখলবাটি গ্রামেও এ দিন সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এখানেও শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হন গ্রামবাসীরা। ভোট দিতে যাওয়ার পথে গ্রামবাসীদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধা পেয়ে সবাই গ্রামে ফিরে আসেন। এরপরেই শুরু হয় গ্রামের মহিলাদের বিক্ষোভ। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসিন্দাদের ভোটদান কেন্দ্রে নিয়ে যান।
সিউড়ির কামারডাঙাল গ্রামে সংঘর্ষ বাধে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের। ভোট দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনজন তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগের তির বিজেপির কর্মী সমর্থকদের দিকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
সিউড়ির দু নম্বর ব্লকের কোমা গ্রাম ও লবাগানে তৃণমূলের বাইক বাহিনী বাসিন্দাদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরেই নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানায় বিজেপি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁরাই ভোটারদের নিরাপত্তা দিয়ে বুথে পৌঁছে দেয়।