পুলিসকর্মীদের গাড়ি ভাঙচুরের ভিডিয়ো ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তোলপাড় হয় সব মহল।
বামেদের ডাকা ভারত বনধকে কেন্দ্র করে মালদায় সুজাপুরে হিংসা-অশান্তির ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। পুলিসের গাড়িতে হামলা সহ আগুন সংযোগ করার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হচ্ছে অভিযুক্তদের। আটক করা হচ্ছে তাঁদের। রাতভর খানাতল্লাশির পর হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে। আটক করা হয়েছে আরও ৫ জনকে। হামলার ঘটনায় যারাই যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ফুটেজ ভাইরাল হয়। যেখানে পুলিসকর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যায়। পরে সেই ফুটেজের সত্যতা স্বীকার করে নেন মালদার পুলিস সুপার।
প্রসঙ্গত, বাম ও বিরোধীদের ডাকা বনধ ঘিরে গতকাল তোলপাড় হয় মালদার সুজাপুর। জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন বনধ সমর্থকরা।
সেই অবরোধ তুলতে গেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জাতীয় সড়কের একাংশ। বিক্ষোভ হঠাতে পুলিস লাঠি হাতে তেড়ে গেলে, পাল্টা পাথর ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিস।
শূন্যে গুলিও চালানো হয়। আর এতেই ফেটে পড়ে জনতার রোষ। এরপর পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর নিয়ে তাড়া করে মানুষজন। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। গোটা জাতীয় সড়ক ভরে যায় ভাঙা ইট-পাথরে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের ২টি গাড়ি। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুজাপুর।
এই অশান্তির পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসে একটি ভিডিয়ো। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, সুজাপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে পুলিস-ই। বন্দুকের বাঁট দিয়ে, ঢিল ছুড়ে ভাঙা হচ্ছে গাড়ির কাঁচ। এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় সরকারে দিকে একযোগে আঙুল তোলে সিপিআইএম-কংগ্রেস। পরে ভিডিয়োটির সত্যতা স্বীকার করে নেন মালদার পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া। জানান, ”কয়েকজন কনস্টেবল ভাঙচুর করেছে।” দোষী পুলিসকর্মীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। অভিযুক্ত পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হয় বিজেপিও।