বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হল কেন্দ্র-রাজ্য তরজা৷ প্রথম পর্যায়ে করোনা যোদ্ধা এবং পরে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই কড়া নিন্দা করল বিজেপি। ভ্যাকসিন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদতে মিথ্যে ঘোষণা করে চলেছেন বলেই টুইটে দাবি করলেন বাংলায় বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য।
বিভিন্ন জেলার পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে উল্লেখ, সরকারি-বেসরকারি যেসব কর্মী সর্বশক্তি দিয়ে যেভাবে মানুষের সেবা করছেন তার জন্য সেইসব কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে কুর্নিশ। রাজ্যে কোভিড ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘COVID-19 এর মোকাবিলায় একজন কোভিড যোদ্ধা হিসেবে আপনি যেভাবে সবসময় মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করেছেন, তাকে সম্মান জানাচ্ছি। আপনি ও আপনার পরিবার সবসময় ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের সরকার রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।’পুলিশ সূত্রের খবর করোনায় আক্রান্ত পুলিশ কর্মী ও অফিসারদের নাম, ঠিকানা, বয়স ও আক্রান্তের দিনক্ষণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। তারপরেই অনেক পুলিশ কর্মী ও অফিসারদের নিদিষ্ট একটি মোবাইল নম্বরে পৌঁছে যাচ্ছে এই মোবাইল বার্তা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আশ্বাসকে হাতিয়ার করেই আসরে নেমেছে বিরোধী বিজেপি। টুইটে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন বাংলায় বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। তিনি টুইটে লেখেন, “রাজ্য সরকার প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের বিনামূল্যে টিকাকরণের বন্দোবস্ত করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল।”
টুইটে তাঁর সংযোজন, “মিথ্যা প্রচার থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিরত করা যাচ্ছে না। ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা পোস্টার দিয়ে বলছে দিদিন ঘোষণা করেছেন আমাদের রাজ্যের সকলে নিখরচায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। নির্লজ্জতার কোনও সীমা নেই।”
প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার দেশে শুরু হবে করোনার টিকাকরণ। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও সামনের সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণ হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফায় দেশের যে ২৭ কোটি নাগরিককে টিকা দেওয়া হবে, তার পুরো খরচও কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে। এক্ষেত্রে ৫০ বছরের ওপরে বয়স এবং কোমর্বিডিটি থাকলে তারা অগ্রাধিকার পাবেন।