নকশাল দমন অভিযানে গিয়ে শনিবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে নিরাপত্তা বাহিনী ও নকশালদের গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন ৫ জওয়ান। যার মধ্যে সিআরপিএফের ৩ জন এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের ২ জওয়ান রয়েছেন। ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন জওয়ানের এখনও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে । আহত ৩০ জওয়ানের মধ্যে ২৩ জনকে বিজাপুর হাসপাতালে এবং ৭ জনকে রাইপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ছত্তিশগড় পুলিশ। পাশাপাশি এনকাউন্টারে ৩ নকশাল মারা গিয়েছে।তারমধ্যে এক মহিলার মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজ্যের পুলিশ আধিকারিক ডিএম অবস্থি জানিয়েছেন, ‘বিজাপুর জেলার তারেম এলাকায় সুরক্ষা বাহিনী এবং নকশালদের মধ্যে একটি সংঘর্ষ হয়েছে।সিআরপিএফের কোবরা ব্যাটালিয়ন, ডিআরজি এবং এসটিএফ কর্মীদের তারেম অঞ্চলে নকশাল বিরোধী অভিযানে পাঠানো হয়েছিল।দলটি যখন বিজাপুরের তারেম থানা এলাকার সিলবার জঙ্গলে ছিল, নকশালরা সুরক্ষা বাহিনীর উপর গুলি চালানো শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। প্রায় তিন ঘন্টা চলে গুলির লড়াই।’
ছত্তিশগড়ের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ওপি লাল জানিয়েছেন, ‘নকশালদের দুর্গ হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ বাস্তারের বনাঞ্চল, সুকমা, বিজাপুরে শুক্রবার রাত থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর ২ হাজার জওয়ান নকশাল বিরোধী অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযান চলাকালীন বিজাপুর জেলার তারেম এলাকায় সুরক্ষা বাহিনীর উপর অতর্কিতে হামলা চালায় নকশালরা।’
গত সপ্তাহে সুকমায় তল্লাশি অভিযানের সময় আইটিবিপি ৩ মাওবাদীকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। সুকমার বেশ কয়েকটি এলাকায় বিস্ফোরণের ছক কষেছিল এই মাওবাদীরা। নকশালদের সেই পরিকল্পনা রুখে দিয়ে,তাদের গ্রেপ্তার করেন জওয়ানরা।
এর আগে, ২৩ শে মার্চ, ছত্তিশগড়ের নকশাল-প্রভাবিত নারায়ণপুর জেলায় নকশালরা একটি ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণ ঘটে এবং সুরক্ষা বাহিনীদের নিয়ে আসা একটি বাসকে উড়িয়ে দেয়।এই ঘটনায় পাঁচ সেনা নিহত হয়েছিলেন, এবং ১৩ জন সেনা আহত হয়েছিলেন।বাস্টার অঞ্চলের পুলিশ মহাপরিদর্শক, সুন্দররাজ পি বলেছিলেন যে মাওবাদীরা নারায়ণপুর জেলার ধোদাই থানাধীন কানহারগাঁও-কাদেনার সড়কের একটি ল্যান্ডমাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সুরক্ষা বাহিনী বহনকারী একটি বাসকে বিস্ফোরণ করেছিল।