একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল উলুবেড়িয়ার রাজপুর থানার সুমদা এলাকা। সূত্রের খবর, তুলসীবেড়িয়ার সমুদার বাসিন্দা মৃত স্বাতী সামন্ত বাগনানের বিএনআর স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বৃ্হস্পতিবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার খোঁজে স্কুলে যায় কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। তখন তারা জানতে পারেন যে, স্কুলেই যায়নি স্বাতী। ওই কিশোরীর এক বন্ধু জানায় যে, সুমদারই বাসিন্দা আমির আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে স্বাতীকে দেখেছিল সে। এরপর গোটা দিনে মেয়ের হদিশ না মেলায় রাজপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে করে স্বাতীর পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে আমির আলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় ধৃত যুবক জানায়, “স্বাতী সারাদিন আমার সঙ্গে থাকলেও বিকেলে ওকে বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে এসেছিলাম।” এই পরিস্থিতিতে বাগনানের চন্দ্রপুরের কাছে রেল লাইনে একটি দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি উদ্ধার করে পুলিশের তরফে ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। খবর পেয়ে শনিবার রাতে স্বাতীর দেহ শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা।
এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, স্বাতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজুর দাবিতে রবিবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার বাসিন্দারা।