রাতারাতি পাল্টে গেল স্লোগান। যে স্লোগানে গত সাতদিন ধরে গর্জে উঠেছিল বঙ্গের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, সোমবার সন্ধ্যায় ঠিক তার থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে উল্টো স্লোগান শোনা গেল আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে। ‘আমরা কারা……বহিরাগত’ থেকে স্লোগান বদলে হয়ে গেল ‘আমরা কারা……লক্ষ্মী ছেলে’।
সোমবার নবান্নে বৈঠকের পর থেকেই কার্যত উৎসবের মুডে রয়েছেন নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসি হাসি মুখে এনআরএস চত্বরে থাকা অনেক আন্দোলনকারীকেই এ দিন বলতে শোনা গেল, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বহিরাগত বলেছিলেন। তবে আজ বললেন লক্ষ্মী ছেলে। উনি আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারটা দেখবেন আশ্বাস দিয়েছেন এটাই যথেষ্ট। মাননীয়া যে আজ নমনীয় ভাবে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এতেই আমরা খুশি।”
প্রসঙ্গত, সোমবার নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে স্বাস্থ্যের অচলাবস্থা কাটাতে রফাসূত্র বের করার জন্যই ছিল এই মিটিং। ১২ দফা দাবি নিয়ে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজের ৩১ জন প্রতিনিধি এ দিন গিয়েছিলেন নবান্নে। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করে বলেন, “আমার লক্ষ্মী ছেলেরা, ছোট ভাই-বোনেরা প্লিজ এ বার কাজে যোগ দাও।” আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘লক্ষ্মী ছেলে’-র সুরে সুর মিলিয়েই সোমবার সন্ধ্যায় ‘আমরা কারা……লক্ষ্মী ছেলে’ স্লোগানে মুখরিত হয় এনআরএস হাসপাতাল চত্বর।
এ দিনের বৈঠক শেষে প্রশাসন এবং ডাক্তার, দু’পক্ষই জানিয়েছেন, ইতিবাচক হয়েছে বৈঠক। সদর্থক আলোচনাই হয়েছে সেখানে। ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল জানান, মিটিংয়ের খসড়া নিয়ে এনআরএস-এ যাবেন তাঁরা। সেখানে গিয়েই হবে পরবর্তী ঘোষণা। কী সিদ্ধন্ত নেবেন ডাক্তাররা এখন সে দিকেই তাকিয়ে বঙ্গবাসী। তবে সরকারি ভাবে ঘোষণা না হলেও অনুমান যে আজ সন্ধ্যাতেই উঠে যাবে ডাক্তারদের ধর্মঘট। তবে যতক্ষণ না অফিশিয়ালি কিছু ঘোষণা হচ্ছে ততক্ষণ উৎকণ্ঠা থেকেই যাচ্ছে।
এখন শুধুই আনুষ্ঠানিক ভাবে স্ট্রাইক ওঠার পালা।