ভোটের আগে খুলেছিল, ভোট হতেই বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল। যার পর চন্দনগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে ব্যাপক উত্তেজনা। উত্তেজিত জনতা স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালালো।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর গত ২০ এপ্রিল খুলেছিল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল। কিন্তু ভোট মিটতেই ফের বন্ধ হয়ে গেল! মুখ্যমন্ত্রী গত ৩০ এপ্রিল ভদ্রেশ্বর সুভাষ ময়দানের নির্বাচনী সভায় এসে বলে যান, ‘জুটমিল খুলে দিয়েছি। আমরা কোনও কারখানা বন্ধ রাখি না।’ ফের মিল বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকরা বলছে, সব ভোটের রাজনীতি। চার হাজার শ্রমিক কাজ করে গোন্দলপাড়া জুটমিলে। যদিও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মিল খোলার নোটিশে খুশি হতে পারেনি শ্রমিকরা। কারণ মেন্টেনেন্সের জন্য তেরো জন শ্রমিককে কাজে যোগ দিতে বলে মিল কর্তৃপক্ষ। যদিও ধাপে ধাপে অন্য শ্রমিকদেরও কাজে নেওয়া হবে বলা হয়েছিল। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি প্রথম কয়েকদিন। পরে মেন্টেনেন্সের কাজ চালু হয়। কিন্তু উৎপাদন শুরু হওয়ার আগেই আজ সকালে সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হল কারখানার গেটে। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় শ্রমিকরা। এইসঙ্গে আক্রান্ত হন এলাকার তৃণমূল নেতাও। তাঁর বাড়িতে হামলা হয় বলেও অভিযোগ। জুট মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের বক্তব্য, ভোটব্যাঙ্কের জন্য জুট মিল খুলেছিল, এটা এখন জলের মতো পরিষ্কার। যদি এরকমটা আগে বুঝতাম তাহলে যে কজন শ্রমিক মেন্টেনেন্সের জন্য কাজে যোগ দিয়েছিল তাদের কাজে যোগ দিতে দেওয়া হত না।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে বলেন, ‘আমি শুনলাম এই জুটমিল বন্ধ হয়ে গেছে, ‘কেউ বলবে খুলতে কেউ বলবে বন্ধ করতে, তা হবে না, পুলিশ ব্যাপারটা দেখুক। তেমন কিছু হলে গ্রেফতার করতে হবে যারা গোলমাল পাকাচ্ছে তাদের। কেন বন্ধ হলো!’