কোনও রাজনৈতিক দল নয়৷ এবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর চিঠি দিল নির্বাচন কমিশনকে৷ বাংলায় একুশের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এই চিঠি৷ এমনটাই সূত্রের খবর৷
সূত্রের খবর, বাংলায় কত বাহিনী ,কত কপ্টার প্রয়োজন, জানতে চায় দিল্লি৷ তার জবাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিঠি রাজ্যের CEO (মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্য্যালয়) দফতরের৷ স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল বা SOP মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সওয়াল৷ পাশাপাশি কমিশনের তরফে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে৷
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে মার্চেই হতে পারে বাংলায় বিধানসভা ভোট। যদিও তার আগেই বাংলায় ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল কমিশন। সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই এই ভোট প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। তবে করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে এই ভোট হবে সেটাই চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে।
যদিও বিহার ভোট যে মডেলে হয়েছে সেভাবেই বাংলায় ভোট করাতে পারে বলে কমিশন সূত্র খবর। আর সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে সর্বদল বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। করোনা আবহে কীভাবে ভোট পরিচালনা তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিকের দফতরে এই বৈঠক হয়েছে সম্প্রতি৷
রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের তরফে প্রতিনিধিরা ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের তরফে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঋজু ঘোষাল, সৌম্য আইচ। তৃণমূলের তরফে ছিলেন সুব্রত বক্সি এবং সিপিএমের তরফে রবিন দেব ও অন্যান্য নেতারা৷
এদিকে পাখির চোখ একুশের বিধানসভা ভোট। বিহার জয়ের পর বাংলাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদী-শাহরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির বিশেষ বৈঠকে ফের নয়া সিদ্ধান্ত। নির্বাচনী কৌশল বাস্তবায়িত করতে বিশেষ টিম গড়ল রাজ্য বিজেপি। রাজ্যকে ৫টি জোনে ভাগ করে ভোট-যুদ্ধে ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির।
বৈঠকে বাংলাকে মোট ৫ ভাগে ভাগ করে পরিকল্পনা সাজিয়েছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, এই ৫ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে। বিজেপির ‘বাংলা-জয়ের’ পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে ৫ জোনের দায়িত্বে থাকছেন সুনীল দেওধর, বিনোদ সোনকার, দুষ্মন্ত গৌতম, হরিশ দ্বিবেদী, বিনোদ তাওরে-রা। জেলা কমিটিগুলির সঙ্গে বসে জোনভিত্তিক দলের কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷
বসে নেই শাসক দল তৃণমূলও৷ এছাড়া সিপিএম,কংগ্রেসও ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে৷