দিল্লি কার্যত অবরুদ্ধ। কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানীর রাজপথ। তবে সমাধানসূত্র মিলছে না। শনিবার কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের পঞ্চম দফা বৈঠকের পরেও কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি। পরবর্তী বৈঠক ৯ই ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে, বিক্ষোভে যে মহিলা ও বৃদ্ধ কৃষকরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে আবেদন করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিক্ষোভ শেষ করার আবেদনও জানানো হয়েছে। এদিন পঞ্চম দফা বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানান, কৃষকরা বিক্ষোভ তুলে নিন। কারণ এই শীতে তাঁরা রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
দিল্লিবাসীর অসুবিধা হবে, সেকথা মাথায় রেখেও বিক্ষোভ তুলে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী। দিল্লির প্রবেশপথগুলিতে বিক্ষোভ চললে বেশ সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা, সেটা বোঝা উচিত কৃষকদের বলে দাবি তাঁর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতির ওপর কৃষকদের ভরসা রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৃষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন তাঁরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে আলোচনা চালাচ্ছেন। বৈঠকগুলি ফলপ্রসূ না হলেও আলোচনা সদর্থক পথেই এগোচ্ছে। পরবর্তী বৈঠক ৯ই ডিসেম্বর স্থির করা হয়েছে। মোদী সরকার কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখেই বিল এনেছে বলে এদিন আশ্বাস দেন তোমর।
কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিল বাতিল বা সংশোধন করতে হবে, এই দাবিতে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরাও যোগ দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে ৮ই ডিসেম্বর সারা ভারত বনধের দিন প্রতিটি টোল প্লাজা ও দেশের প্রতিটি রাস্তা আটকে প্রতিবাদ চলবে। দিল্লিমুখী সব রাস্তা আটকানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
একদিকে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা, অন্যদিকে সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ঝড়। কৃষক বিক্ষোভ ক্রমশই গলার কাঁটা হয়ে উঠছে কেন্দ্রের মোদী সরকারের। এবার ৮ই ডিসেম্বর সারা ভারত জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা।