করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবা। শনিবার এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, তেলাঙ্গানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিনিধিরা। করোনার সংক্রমণ আটকানোর কৌশল নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়।
গত সপ্তাহে এই রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে করোনার প্রকোপ বেড়েছে। এদিন বৈঠকে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজ্যগুলিকে বলেন, এই সংক্রমণ আটকানোর জন্য কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। গত বছর যৌথ পরিশ্রমের লাভকে নষ্ট করা উচিত নয় বলেও জানান তিনি। এর জন্য কঠোরভাবে করোনা বিধি পালন করার কথাও বলেন তিনি। এর সাহায্যেই সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি বহু পরিমাণে পরীক্ষা ও ট্রাকিংয়ের প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। সংক্রমণ এড়াতে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়-
জেলাগুলিতে পরীক্ষা কমে গিয়েছে। অবিলম্বে সেগুলি বাড়াতে হবে।
রাজ্যগুলিতে RT-PCR পরীক্ষা এবং জেলাগুলিতে হাই অ্যান্টিজেন টেস্টিং বাড়াতে হবে।
নির্দিষ্ট কিছু জেলার উপর নজরদারির করা এবং নিয়ন্ত্রণ করা।
হটস্পট সনাক্তকরণ এবং সেগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য মিউট্যান্ট স্ট্রেন ও ক্লাস্টারিং পর্যবেক্ষণ করা।
ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট ও যে জেলাগুলি থেকে বেশই পরিমাণে মৃত্যুর খবর আসছে সেখানে মনোনিবেশ করা।
যে সব জেলায় সংক্রমণ বেশি সেখানে টিকাকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
সবাই COVID-এর নিয়ম যথাযথভাবে মেনে চলছে কি না, তা দেখা। এক্ষেত্রে যেন কোনও শিথিলতা না আসে।
বিশেষত টিকাদান এখন পরবর্তী পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
এই বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রধান সচিব ও উচ্চ পদস্থ স্বাস্থ্যকর্মীরা বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া ছিলেন ইউনিয়ন হেলথ সেক্রেটারি, DG ICMR, নীতি আয়োগ এম্পায়ার গ্রুপের সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সদস্যরা। বৈঠকে প্রধান সচিব রাজ্যগুলির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন। বৈঠকে এও জানানো হয় যদি কেউ করোনা বিধি না মানে তবে তাদের কাছ থেকে যেন মোটা টাকার জরিমানা নেওয়া হয়।