যাঁকে লোকসভা ভোটযুদ্ধ পর্বে সব বিষয়ে কটাক্ষ করতেন, সেই তাঁকেই ভোট পরবর্তী তৃণমূলের দুর্দিনে নকল করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত, মমতার সঙ্গে এখন মোদীর অনেক মিল। এই যেমন, মোদী সরকারের মতোই রাজ্যেও জেনারেলদের সংরক্ষণ দিতে চলেছে মমতা সরকার। তবে কেন্দ্রের পথে হাঁটলেও সাহসী হতে দেখা গেল না মুখ্যমন্ত্রীকে। নতুন কোনও ভাবনাও পাওয়া গেল না, বরং কপি পেস্ট হল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের।
কেন্দ্র আর্থিক আয়ের উর্দ্ধসীমা ৮ লক্ষ রেখেছিল, মমতাও তাই করলেন। প্রসঙ্গত, সোমবার নবান্নে জারি করা নির্দেশিকায় রাজ্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় জেনারেলদের জন্য সংরক্ষণের শর্তগুলি নির্ধারিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে রাজ্যের যাবতীয় শর্ত।
সোমবারের নির্দেশিকায় জানানো হয়, ৮ লক্ষ টাকা বা তার কম বার্ষিক আয়, এমন পরিবারের ছেলে বা মেয়েরা পাবেন এই সংরক্ষণের সুবিধা। দ্বিতীয়ত, অবশ্যই এই পরিবারের জমির পরিমাণ ৫ একরের বেশি হতে পারবে না। তৃতীয়ত, শহর বা শহরতলিতে ১,০০০ স্কোয়ারফিট বা তার থেকে বড় ফ্ল্যাট থাকলে মিলবে না সংরক্ষণ।
ইতিমধ্যে যাঁরা এসসি, এসটি, ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় পড়েন তাঁরা পাবেন না এই সংরক্ষণের সুবিধা।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে মোদী সরকার। ভোটে বিজেপির বিপুল জয়ের পর এবং রাজ্যে তৃণমূলের শোচনীয় পরাজয়ের পর একই পথে হাঁটল মমতার সরকার।