গতকাল রাজ্যে এসেই নবান্নে বৈঠক করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের টিম। শুক্রবার তাঁরা পৌঁছেছেন রাজভবনে। ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে বাংলায় যে সন্ত্রাস চলছে সে ব্যাপারেই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করছে কেন্দ্রীয় দল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসেছে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ সরেজমিনে দেখতে। চার সদস্যের এই বিশেষ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন। গতকালই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ইতিমধ্যেই নবান্নকে জোরা চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা। প্রথম চিঠির জবাব কেন দেওয়া হয়নি তা নিয়ে দ্বিতীয় চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। তা ছাড়া গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বাংলার হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে।
রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তাঁর থেকে অমিত শাহের মন্ত্রক জানতে চেয়েছে, বাংলায় বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক কী। এদিন কেন্দ্রীয় দল সেই নিয়েই কথা বলবে রাজ্যপালের সঙ্গে।
গতকালই মেদিনীপুরে আক্রান্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরনের কনভয়। অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে লোকজন বেরিয়ে এসে মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় গাড়িতে। মন্ত্রীর কোনও আঘাত না লাগলেও জখম হয়েছেন তিন জন সাংবাদিক। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ভোট গণনার পর থেকে বাংলার হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি। দিন তিনেক আগে রাজ্যপালকে ফোন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এর মধ্যেই তাঁদের পাঁচ কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। জখম করা হয়েছে কয়েকশ কর্মীকে। বাড়িঘর, দোকানপাট লুঠ থেকে মহিলাদের শ্লীলতাহানি কিছুই বাদ যাচ্ছে না বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলা নিয়েও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা তীব্র সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলা হচ্ছে সেখানে সাধারণ মানুষের অবস্থা কেমন তা বোঝাই যাচ্ছে। যদিও গতকাল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনার সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বাংলায় আসছেন কেন?