শনিবার রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যে আসছে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ এর মধ্যে থাকছে সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, বিএসএফ। এছাড়াও থাকছে এসএসবি, আইটিবিপি। আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ হবে সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলদারি, রুট মার্চ।
রাজ্যের বিরোধী দলগুলির বিশেষ করে বিজেপির দাবি ছিল, ভোট ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক বাংলায়। এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ শুরু হোক। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের দাবি মেনেই ১০০ কোম্পানির বেশি বাহিনীকে চলতি মাসেই বাংলায় পাঠাচ্ছে কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, বীরভূম জেলাতেই প্রথম কেন্দ্রীয় বাহিনী পা রাখছে। রবিবার থেকেই বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ এই বাহিনী শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে রুট মার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনী চালাবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে৷
কমিশন সূত্রের খবর, চলতি মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির মাসের শেষ হওয়ার আগেই মোট ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী বাংলায় আসবে বলে জানা গিয়েছে। মুলত যে সমস্ত স্পর্শকাতর জায়গা রয়েছে সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে রুট মার্চ বাহিনী শুরু করবে বলে খবর। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই রাজ্যে আধাসামরিক বাহিনী ঢুকতে শুরু করবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ভোটের সময়ে রাজ্য সরকারই প্রাথমিক হিসেবে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। সাম্প্রতিক কলকাতা সফরের সময়ে কমিশনের ফুল বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য যা চেয়েছে, তত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী না-ও মিলতে পারে। প্রসঙ্গত, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, একই সঙ্গে আরও চারটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট হবে।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ৭৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল। সেই সময়ে বুথের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার। তবে সব ক’টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো সম্ভব হয়নি। এ বার করোনা পরিস্থিতির কারণে বুথ বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৯০টি।
এদিকে, নবান্ন সূত্রে বলা হয়েছে, রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের হাতে যে বাহিনী রয়েছে, তাতে দৈনন্দিন আইনশৃঙ্খলার কাজ দেখভাল ও অপরাধ দমনের কাজে ব্যবহার করে বাহিনীর সর্বাধিক ৬৫ শতাংশকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।