প্রকাশ্যে আবার মুখোশ খুলে গেলো তৃণমূলের। তৃণমূলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জী চারিদিকে গণতন্ত্রের বুলি আওড়ে চলেছেন, ওনার মতে শুধু মাত্র এই রাজ্যেই গণতন্ত্র আছে। আর গোটা দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। কিন্তু ওনার এই গণতান্ত্রিক রাজ্যে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত ভোটে ওনার দলের দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছেন প্রায় ১০০ জন মানুষ।
এমনকি এই গণতান্ত্রিক রাজ্যে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। প্রায় ৫০ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। তাছাড়াও গণতন্ত্র কায়েম করার জন্য তৃণমূলের পোষা গুন্ডারা পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন, গণনা কেন্দ্রে গিয়ে মনের সুখে ছাপ্পা দিয়েছে। আর গণতন্ত্রের রানি শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশেই যে এসব করা হয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য।
এবার আরেকটি চরম গণতান্ত্রিক উদাহরণ পেশ করলেন তৃণমূলের এক নেতা। যেখানে বিরোধী থেকে শুরু করে রাজ্যের মানুষ এবং পোলিং এজেন্টরা প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে। সেখানে এই গণতান্ত্রিক তৃণমূল দল এবং দলের সুপ্রিমো কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরোধিতা করেই চলেছেন। এমনকি উনি মঞ্চে উঠে এও বলেছেন, ‘বাহিনী ভোট পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে, তারপর তো আমাদের পুলিশই থাকবে।” কার্যত হুঁশিয়ারি সূরেই উনি মানুষকে তৃণমূলে ভোট দিতে বাধ্য করছেন।
আর এবার কোচবিহার-১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি খোকন মিঞা এরকমই এক গণতান্ত্রিক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন। আজ একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তৃণমূল সভাপতি খোকন মিঞা কে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ সব বুথে প্যারা মিলিটারি থাকবে না। মাত্র ৪০ টি বুথে থাকবে, বাকি ৬০ টি বুথে তোমরা তৃণমূলকে ছাপ্পা দিয়ে যাও।”
খোকনের এই অডিও বার্তা ভাইরাল হওয়ার পরেই রাজ্যের রাজনীতি আবহাওয়া আবার গরম হয়েছে। রাত পোহালেই আগামীকাল ভোট, আর ভোটের আগে এরকম বার্তা ভাবাচ্ছে সব বিরোধী দলকেই। বিজেপি ওই অডিও বার্তা নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন খোকন মিঞা।
আজ সকালে কোচবিহারের ১ নং ব্লকে তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে মিটিং করেন খোকন মিঞা। আর সেখান থেকেই অবাধে ছাপ্পা মারার নিদান দেন তৃণমূলের কর্মীদের। খোকন মিঞার ওই অডিও বার্তায় ভোটারদের তৃণমূল ব্যাতিত অন্য দলে ভোট দিলে দেখে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রিসাডিং অফিসারকে সেটিং করে ছাপ্পা দেওয়ার মত মহৎ কাজ করবেন বলেছেন উনি।
এই অডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিজেপির জেলা সভাপতি মালতি রাভা কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন। যদিও বিজেপির সম্পূর্ণ অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে এটা তৃণমূল এবং নিজের প্রতি ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা খোকন মিঞা।
যদিও আমাদের ইন্ডিয়া রাগ চ্যানেলের পক্ষ থেকে এই অডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।