ট্র্যাডিশন চলছেই! রবিবার দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের কর্মী সম্মেলনে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় হুমকির সুরে অভিযোগ করেন, এলাকায় এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। উল্লেখ্য, দিন দুয়েক হল বেশ কিছু এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করেছে বাহিনী। সেই সমস্ত এলাকা থেকে এখনও কোনওরকম অভিযোগ আসেনি। তাহলে কিসের ভিত্তিতে এমন অভিযোগ ও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী?
অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি শাসকদলের রোষের ঘটনা নতুন নয়। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট জমানায় এমন কাণ্ড একাধিকবার চাক্ষুষ করেছে রাজ্যের মানুষ। তখন বিনয় কোঙার, অনিল বসু, সুশান্ত ঘোষরা এর চেয়েও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করতেন কমিশনকে। বামফ্রন্ট সরকারের পরিবহনমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী তো একবার নির্বাচন কমিশনারকে “ফোড়ে” বলেও আক্রমণ করেছিলেন। সিপিএম গেছে, কিন্তু ট্র্যাডিশন চলছেই। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কমিশনের অতি সক্রিয়তা নিয়ে আক্রমন শানিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক যেমন ২০০৬ সালের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে কমিশনের কাজ করতে এসে কেজে রাওকে কুকথা শুনতে হয়েছিল সিপিএমের থেকে।
এবারের নির্বাচনেও যে কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তৃণমূল আক্রমণ করবে তা রবিবারই স্পষ্ট করে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত বিধানসভা ভোটের সময় কমিশনের নির্দেশ মেনে চলা পুলিশ কর্তাদের পরবর্তী সময় কি দশা হয়েছে, তা রাজনৈতিক মহলে এখনও আলোচ্য বিষয়। সেকথা মনে করে লোকসভা ভোটে রাজ্য প্রশাসনের পুলিশ ও আমলা কমিশনের নির্দেশ কতটা মেনে চলবে, তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।