পরপর দু’দিনে টলিউডের দুই নামী তারকা চিটফান্ড তদন্তে জেরার সমন পেয়েছেন। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজর পড়েছে টলি পাড়ায়। দেখে নিন সেই তালিকা যাঁরা ইতিমধ্যেই ডাক পেয়েছেন।
মিঠুন চক্রবর্তী: তৃণমূলের এই প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদের আসল পরিচয় অভনেতা হিসেবে। শুধু টলিউড নয়, বলিউডের দীর্ঘ সময়ের প্রতিনিধিকেও সমন পাঠিয়েছিল ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে সারদার টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান করার অভিযোগ ছিল।
অপর্ণা সেন: প্রথম সারির এই পরিচালক-অভিনেত্রী চিটফান্ড কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ডাক পান। ২০১১ সালে চালু হওয়া সারদা গোষ্ঠীর ‘পরমা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন অপর্ণা সেন।
শতাব্দী রায়: সম্প্রতি সারদাকাণ্ডে সমন পেয়েছেন তৃণমূলের এই অভিনেত্রী সাংসদ। তিনি সারদার অধীনস্থ একটি সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন বলে অভিযোগ। অতীতেও শতাব্দী রায়কে তলব করেছিল ইডি।
তাপস পাল: রোজভ্যালির ফিল্ম ডিভিশনের দায়িত্বে ছিলেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন অভিনেতা সাংসদ। রোজভ্যালি ও সারদা দুই তদন্তেই জেরার মুখে পড়েছেন তিনি। ভুবনেশ্বরে ১৩ মাস বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার পরে ১ কোটির টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান। তাপস পালের বাড়িতেও তল্লাসি চালায় ইডি।
শ্রীকান্ত মোহতা: এখন ভুবনেশ্বরে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা। চলতে বছরেই তাঁর অফিসে হানা দেয় সিবিআই।
এছাড়াও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত নাট্য পরিচালক তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে সারদাকাণ্ডে তলব করে সিবিআই। রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কন্যা তথা মডেল শ্রেয়া পাণ্ডেকেও তলব করেছিল ইডি। এবার ডাক পেলেন প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা।