চিটফান্ড কাণ্ডে দুম করে যেন তদন্তের গতি বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিগুলো। সারদা চিটফান্ড মামলায় জেরা করার জন্য শাসক দলের ঘনিষ্ঠ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্যকে যেমন শুক্রবার জেরা করতে ডাকে সিবিআই। তেমনই এ দিনই আবার রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে হলদিয়ার একদা দাপুটে সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে জেরার জন্য ডাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এ দিন সাত সকালে সল্টলেকে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান শুভাপ্রসন্ন। যদিও চোখে মুখে প্রসন্ন ভাব দৃশ্যত ছিল না। বরং কিছুটা উদ্বিগ্নই দেখিয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে হলুদ পাঞ্জাবি পরে ইডি দফতরে পৌঁছন লক্ষ্মণ শেঠ।
সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি বিক্রি ও নিলামের ঘটনা নিয়ে শুভাপ্রসন্নকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দেবকৃপা নামে একটি সংস্থার তত্ত্বাবধানে একটি চ্যানেল চালাতেন শুভাপ্রসন্ন। চ্যানেলটি লোকসানে চললেও তাতে ৩ কোটি টাকা পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এর কিছু দিন পর সারদা চিটফান্ড কর্তা সুদীপ্ত সেনকে ওই চ্যানেল ৬ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের কৌতূহল, সুদীপ্ত সেন কি নিজেই ওই লোকসানে চলা চ্যানেল ৬ কোটি টাকায় কিনতে আগ্রহী ছিলেন, নাকি তাঁর উপর চাপ দেওয়া হয়েছিল? যদি চাপ দেওয়া হয়ে থাকে, তা হলে সেই চাপ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তর থেকে এসেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই। শুভাপ্রসন্নর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইতে পারে সিবিআই।
তবে তৃণমূলের আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি বিক্রি নিয়েই মূলত শুভাপ্রসন্নকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। কারণ, সারদা তদন্তে নেমে এখন প্রভাবশালীদের যোগসাজসের খোঁজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিবাজী পাঁজাকেও ফের ডেকেছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, রোজভ্যালির মেদিনীপুর জেলার সম্পত্তি বেচাকেনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল লক্ষ্মণ শেঠের। সেই তদন্তে এর আগেও একবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। ফের আজ তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়।