দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগ তোলার সুযোগ ছিল না। কারণ, তাঁকে তদন্ত এজেন্সি যতবারই নোটিস ধরিয়েছে, তিনি ততবারই হাজিরা দিয়েছেন।
রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তা নয়। বরং সিবিআইয়ের অভিযোগ, রাজীবকে জেরার জন্য নোটিশ পাঠালে বারবার নানা ছুতোনাতায় তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন। প্রশ্ন হল, তা হলে কী রাজীবের পরিণতি চিম্বরমের মতোই হতে পারে?
সুপ্রিম কোর্ট চিদম্বরমকে কোনও রক্ষাকবচ না দেওয়ায় সিবিআই সেই দিন রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। নয়াদিল্লির জোরবাগে চিদম্বরমের বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। আইনজ্ঞদের অনেকের মতে, বৃহস্পতিবার ঠিক সে ভাবেই রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমিতা মিত্র।
প্রসঙ্গত, চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তের জন্য সিবিআই রাজীব কুমারকে এখনও পর্যন্ত স্রেফ জেরার জন্যই নোটিশ পাঠিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নেই। তবে তদন্তকারী অফিসাররা বলছেন, এ ক্ষেত্রে আগাম কোনও এফআইআর–এর প্রয়োজন নেই। সিবিআই চাইলে তাঁকে জেরার জন্য ডেকে তার পরে গ্রেফতার করতে পারে। অতীতে ঠিক যে ভাবে রোজভ্যালি কাণ্ডে জেরার জন্য ডেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল লোকসভার তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর রাজীবের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা জানিয়ে রেখেছেন যে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। অর্থাৎ রাজীব কুমারকে যে সিবিআই গ্রেফতার করতে চাইছে সেটা আগেই স্পষ্ট করে জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
রাজীব কুমার মামলার রায় ঘোষণার পরে এই সব জল্পনা যখন বিভিন্ন মহলে
চলছে তখন সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, কালই সিজিও কমপ্লেক্সে তাদের দফতরে
হাজিরা দেওয়ার জন্য রাজীবকে নোটিশ পাঠানো হতে পারে।
সিবিআইয়ের ওই সূত্রের কথায়, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার জন্য রাজীব
কুমারকে গত সপ্তাহেই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। হাইকোর্টের
এই রায়ের পরে তদন্ত বা জেরা এড়িয়ে যাওয়ার আর কোনও সুযোগ থাকল না তাঁর।