হাথরস-কাণ্ডে (Hathrash Case) সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Uttarpradesh Chief minister Yogi Adityanath)। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, ‘‘ গোটা হাথরস-কাণ্ড খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।’’ এদিন হাথরসে মৃত দলিত তরুণীর বাড়িতে যান প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার সিবিআই তদন্তের কথা জানিয়ে দেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক দলিত তরুণীকে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার পরিবারের দাবি, তাঁরা দলিত হওয়ার জন্যই পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেছিল। গণধর্ষণের পরে তরুণীর ওপরে বীভৎস অত্যাচার করে অপরাধীরা। এই নৃশংস গণধর্ষণের কথা জানাজানি হতেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় প্রতিবাদ। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নির্যাতিতার মরদেহ পরিবারের সম্মতি ছাড়াই পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাতেই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। সঙ্গে বৃহস্পতিবার হাথরস যাওয়ার পথে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীকে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে সোচ্চার হয় কংগ্রেস। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ মমতা বালা ঠাকুর, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও প্রতিমা মন্ডল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এমন সব ঘটনায় চাপ বাড়ছিল যোগী প্রশাসনের ওপর। শেষমেষ ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়ে যাবতীয় বিতর্কে বিরোধীদের জবাব দিতে চাইলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।