প্রথমদিন যতটাই অরাজনৈতিক ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেষ দিনে ততটাই আক্রমণাত্মক শোনালো তাঁকে | তা সে নেতাজি ইন্ডোরই হোক বা বেলুড়| বিরোধীদের নিশানা করলেন মোদি | বেলুড়ে যুব দিবসকে সামনে রেখে তিনি যা বললেন তা নিয়ে জলঘোলাও হল বিস্তর | যুব দিবসে বেলুড়ে গিয়ে হাজারো যুবার সামনে সিএএ নিয়ে তার অকপট ভাষণেরও অবশ্য বিরোধীরা তার সমালোচনা করতে ছাড়েননি | মোদি এদিন বলেন,যুবারা বুঝতে পারছে |
কিন্তু কিছু যুবাকে কিছু রাজনৈতিক দল ভুল বোঝাচ্ছে |তাই তারা বিক্ষোভ করছেন | রাজনৈতিক দল যারা বিরোধীতা করছেন তারাও জানেন যে তারা ঠিক করছেন না | তারা বুঝছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নতুন কিছু করেনি কেন্দ্রীয় সরকার |
যা স্বাধীনতার পর থেকে গান্ধীজিও বলে এসেছেন.পাকিস্তানের মত দেশগুলিতে যারা নিজেদের ধর্ম রক্ষার ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ছেন রোজ রোজ, তাদেরকে এদেশের নাগরিক করার অধিকার প্রদান|
সেটিই পালন করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব |
মোদির স্টাইলেই বেলুড়ের অগণিত যুবর সামনে তিনি জিজ্ঞেস করলেন,বলুন সেই সব মানুষকে যদি আমরা আমাদের দেশে জায়গা দি ,তবে কি অন্যায় হবে ? তাদেরকে কি আমরা ওই দেশে আবার মরতে পাঠিয়ে দেব? তা কি মানবিকতার কাজ? স্বাভাবিকভাবেই উপস্থিত যুবর সমবেত ‘হ্যাঁ’ মনোবল বাড়িয়েছে মোদির| তা বলাই বাহুল্য | অন্যদিকে বেলুড়ে পবিত্র মাটিকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করার জন্য বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হলেও এনিয়ে বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীদের সাফ কথা, প্রধানমন্ত্রী আমাদের অতিথি ,তাই তিনি সমালোচনার উর্ধ্বে| বিবৃতি দেন তারা |