মুদিখানার দোকান থেকে ধারে বিরাট অঙ্কের টাকার জিনিস কিনেছিল একটি ক্লাব। তারপর কিছুতেই সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিল না তারা। আজ নয় কাল এই করেই দিন কাটছিল। এরপর পাওনাদার সোজা চলে যায় পাওনা টাকা আনতে। কিন্তু সেই টাকা চাইতে যাওয়াই হল কাল। বাড়িতে ঢুকে রীতিমত হামলা চালানো হল তার উপর। সঙ্গে চলল কটূক্তি। ক্লাব সদস্যরা তৃণমূল করে এমনটাই অভিযোগ। ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করছে ওই ব্যবসায়ী।
ঘটনাস্থান কোন্নগরের ইন্দিরা গান্ধী রোড। স্থানীয় একটি ক্লাবে পুজো উপলক্ষে ব্যবসায়ী অরুন্দম বাগচির কাছ থেকে ক্লাব সদস্যরা প্রায় পনেরো হাজার টাকার জিনিসপত্র কিনেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও নাম মাত্র নেই। এরপর পাওনা টাকা চাইতে যান অরিন্দমবাবু। এরপরই হল বিপত্তি।
অভিযোগ, রাত এগারোটা নাগাদ ওই ক্লাবের ছেলেরা চড়াও হয় অরিন্দমবাবুর ফ্ল্যাটে। অশ্রাব্য গালিগালাজের সঙ্গে চলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া এবং মারধরের হুমকি। অরিন্দম বাবুর স্ত্রী পৌলমি দেবীর অভিযোগ করে বলেন, রাতে ক্লাবের ছেলেরা বাড়িতে চড়াও হয়ে চিৎকার করে গালাগাল হুমকি দিচ্ছিল। চিৎকারের শব্দে বাড়ির বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠে পড়েছিল। অনেক অনুরোধ করেও ফল হয়নি। ওরা বারবার দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল।এবিষয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি মুখপাত্র প্রণয় রায়। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কাটমানি খায় তা বারবার দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই তা থামছে না। এখানে তো তৃণমূল কর্মীরা যে ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়েছেন তিনিও তৃণমূল করেন। মানে এখন ওরা দলের লোককেও ছাড়ছে না।
ঘটনার বিষয় সম্পূর্ণ অস্বীকার কোন্নগর পুর প্রশাসক তন্ময় দেব বলেন,”তৃণমূলের কেউ না। ব্যক্তিগত কার সঙ্গে কী হয়েছে জানি না। যদি কিছু হয়ে থাকে তারজন্য পুলিশ আছে আইন আছে।” যদিও অভিযুক্ত ক্লাব সদস্যরা এই বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি।