নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৩মেঃ রাজ্যের মানুষ ভােট যন্ত্রে বদলা নিয়েছে। মতামত বিজেপির। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের উপর যাবতীয় রাগ মানুষের ভােটে প্রতিফলিত হয়েছে। রাজুর মতে ভােট গণনা থেকে যা আভাস পাওয়া যাচ্ছে, বিজেপি নিজের লক্ষমাত্রার ২৩টি আসনের থেকে বেশি দূরে যাবে। রাজু মনে করেন, রাজ্যে মানুষ তৃণমূলের বিরুধ্যে ভােট দিতে বিজেপি কেই পছন্দ করেছেন। ধর্মীয় মেরুকরণ নয়, মানুষ নরেন্দ্র মােদী এবং বিজেপিকে ভােট দিয়েছে। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মানুষ। বুলেটের বদলা ব্যালটে নিলাে। তৃণমূল আশা করি বুঝতে পেরেছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকা পশ্চিমবঙ্গে প্রয়াত বাম নেতা অনিল বিশ্বাসের সমতুল্য। অনিলবাবুর প্রয়াণের পর বামেদের নির্বাচনী রণকৌশলে যে খরা দেখা গিয়েছে তাতে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হয়েছে এক সময়ের শাসক পক্ষের। আর ২০১১ সালে পরিবর্তনের পর তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সংগঠনকে ধরে রাখতে মুকুল রায় ছিলেন স্তম্ভের মতাে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের ছায়াসঙ্গী মুকুল রায় এখন দিদির পাশে নেই। তিনি দল পরিবর্তন করার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সংগঠনের ছায়া লম্বা হতে শুরু করে। সেই ছায়া যে একেবারে মমতার মাথায় এসে পড়তে চলেছে তার প্রমাণ মিলেছে ইভিএম খােলার সঙ্গে সঙ্গেই। মুকুল রায় বঙ্গ বিজেপিতে যেদিন এসেছিলেন সেই দিনই তাঁর ক্যারিশ্ম শুরু হয়েছিল। দমদম বিমান বন্দর থেকে তাঁকে স্বাগত জানানাের সেই পর্বে তৃণমূল কটাক্ষ করেছিল, হেসেছিল। লােকসভা নির্বাচনের ফলাফলের গতি প্রকৃতিতে সেই হাসি উড়ে যেতে শুরু করেছে। জন রায় বলে দিচ্ছে, রাজ্যে মুকুল বিহীন তৃণমূল কংগ্রেসের খুঁটি নড়বড়ে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়াকু নেত্রী হিসেবেই বাম শাসিত রাজ্যে অগ্নিকন্যা হয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর তাঁর দলের রাজনৈতিক কৌশল দেখাটা ছিল মুকুলবাবুর কাজ। সেখানে দলীয় নেতাদের তেমন কোনও ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। তবে তিনি বিতর্কিত। নারদা মামলায় ছবি। প্রকাশ হওয়ার পরেও তাঁকে নেওয়ার ঝুঁকি দেখিয়ে বিজেপি আখেরে লাভবানই হল। নতুন দলে আসার পরেই মুকুল রায় তাঁর হাতে গড়া তৃণমূলের উচুমধ্যম-নিচু সর্বত্র অংশ থেকে খুঁটি সরিয়ে নিতে শুরু করেন। তারই ফলে বাংলার শাসক দলে নামে ধস। সেই সঙ্গে দেশে মােদী হাওয়ার দাপট কাজ করে। ক্রমে পুরনাে দলের একেবারে গলা পর্যন্ত তিনি চেপে ধরতে শুরু করেছেন। লােকসভা নির্বাচনে বিজেপির অগ্রগতি দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত এরপর আরও আগ্রাসী মুকুল রায়কে দেখা যাবে বাংলার রাজনীতিতে। সেটা তৃণমূলের পক্ষে হবে চরম ক্ষতিকর। বঙ্গে তৃণমূলের ফল আরও খারাপ হত যদি লােকসভা নির্বাচনের সময় ছাপ্পা ও জাল ভােট ঠেকানাে যেত। টিভির পর্দায় চোখ রেখে প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। দিল্লির বাড়িতে বসে বিজেপি নেতা মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তােপ দাগেন।
সৌজন্যে মানকড় সংবাদ