করোনা আক্রান্ত বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। শুক্রবার একথা নিজেই জানালেন তিনি। এক সপ্তাহ ধরে জ্বর থাকার পর তাঁর শরীরে এই মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।

এদিন ট্যুইট করে এই খবর জানিয়েছেন লকেট নিজে। তিনি লিখেছেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে আমার হালকা জ্বর। আমি সেলফ আইসোলেশনে ছিলাম। আজ সকালে আমার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।’

তিনিই প্রথম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, যিনি করোনা আক্রান্ত। এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের। করোনা আক্রান্ত হন সুজিত ঘোষও।

বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে কয়েক পা দূরেই পৌঁছে গিয়েছে মারণ ভাইরাস। মুরলিধর সেন লেনেই অফিসে নিয়ম করে প্রতিদিনই বহু নেতানেত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু সেখানেই বিপদের আশঙ্কা।

সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য দফতরের উলটো দিকের গলি দিয়ে ঢুকে সোজা বাড়িটিতেই নাকি হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটির তিনতলাতেই ২০১৬ সালে ছিল বিজেপির কল সেন্টার

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও করোনা হানার খবর পৌঁছে গিয়েছে। ওই বাড়ির মোট সাতজন সদস্যকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের একজনেরই নমুনা পরীক্ষায় মিলেছে করোনার প্রমাণ। বাকিরা রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে। তাই সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়িটি আপাতত সিল করে দিয়েছে পুলিশ। তবে সংক্রমণের আশঙ্কায় গেরুয়া শিবিরের সৈনিকদের যেন রাতের ঘুম উড়েছে।

এছাড়া গত কয়েকদিন ধরেই জানা যায় যে বিজেপির অনেক নেতা-নেত্রীরই নাকি জ্বর। তাঁরা সবাই হোম আইসোলেশনে আছেন। তবে কে কে জ্বরে আক্রান্ত, তা জানা যায়নি। এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর দিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)।

আগেই করোনাভাইরাস নিয়ে দলের অন্দরে, সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য বিজেপিকে। দলের সমস্ত সংগঠনকে পথে নেমে কোনও কর্মসূচি করতে নিষেধ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.