লাগাতার বাস ধর্মঘটের ডাক বাস-মিনিনাস মালিক সংগঠনগুলির। একগুচ্ছ দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসে বাস-মিনিবাস মালিক সংগঠনগুলি। দীর্ঘ আলোচনার পর লাগাতার তিনদিনের বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৮, ২৯ এবং ৩০ তারিখ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এই তিনদিন গোটা রাজ্যে কোনও বাস এবং মিনিবাস পথে নামবে না বলে হুঁশিয়ারি মালিক সংগঠনের। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে একগুচ্ছ দাবি রেখেছে মালিক সংগঠনগুলি।
তাঁদের দাবি, প্রত্যেকদিন দাম বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের। সঙ্গে আরও দামি হচ্ছে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। ফলে ভাড়া না বাড়ালে তাঁদের পক্ষে বাস চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না বলেই দাবি বাস মালিকদের। শুধু তাই নয়, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ বাসে ওঠাও কমিয়েছে। ফলে প্রত্যেকদিন লোকসানের বোঝা বাড়ছে।
আর সেই কারণে রাজ্য সরকারের কাছে দ্রুত বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই মর্মে খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকারকে ডেপুটেশন দেওয়া হবে বলে মালিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অবিলম্বে জ্বালানিতে জিএসটি চালু করার দাবি জানিয়েছে বাস মালিকরা। সব মিলিয়ে একগুচ্ছ দাবি। অবিলম্বে তা মানা না হলে প্রথমে লাগাতার ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটার হুঁশিয়ারি। তা না হলে আগামিদিনে আরও বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাস মালিক সংগঠনগুলি।
অন্যদিকে ফের রেকর্ড করল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। যদিও এদিন আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৫৫.১০ ডলার প্রতি ব্যারেল। সোমবার থেকেই পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। একই ছবি আজ মঙ্গলবারও।
মোদী সরকারের আমলে প্রতিদিনই বাড়ে-কমে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি মানেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার আশঙ্কা। তাতে টান পড়বে পকেটে। ফলে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে। আর এই অবস্থায় লাগাতার বাস-মিনিবাস ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি।
তাও আবার একেবারে মাসের শেষে। ফলে রাস্তায় বেরিয়ে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হতে পারেন বলেই আশঙ্কা। যদিও কোনও ধর্মঘটকেই প্রশয় দেয় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
সাধারণ ধর্মঘট কিংবা বাস ধর্মঘটে এর আগে আরও বেশি করে সরকারি বাস চালিয়েছে। এক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কিছু জানানো না হলেও পরিস্থিতি সেদিকেই যেতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।