ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের কাজের জেরে ঘর ছাড়তে হয়েছে বৌবাজারের একাধিক পরিবারকে। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়কেও। বুধবার রাতে হঠাৎ মন্ত্রীর বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে মেট্রো আধিকারিকরা জানিয়ে যান, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বাড়ি খালি করতে হবে। পার্ক সার্কাসের একটি আবাসনে মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী-কন্যাকে আপাতত রাখা হয়েছে৷
মেট্রোর সুড়ঙ্গ নির্মাণের ফলে বৌবাজারের একাংশ ধ্বসের মুখে। গৃহহীনের সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি গৌর দে লেনের বাসিন্দাদেরও বাড়ি ছাড়ার অনুরোধ করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই গৌড় দে লেনেই থাকেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায়৷ ১০৫ বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিট-এন্টালি তাঁর ঠিকানা৷ বুধবার রাতে মন্ত্রী তাপস রায়কে ফ্ল্যাট-সহ এই এলাকার মোট সাতটি পরিবারকে বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের থেকে নোটিস পেয়েও বাড়ি ছাড়তে নারাজ বৌবাজার এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় মাইকিং করে লোক জড়ো করে রাস্তা অবরোধও করছেন তাঁরা।
গৌর দে লেন এবং হিদারাম ব্যান্যার্জী লেনের সংযোগস্থল বাসিন্দারা অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, রাতের অন্ধকারে মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাড়ি ছাড়ার নোটিস ধরিয়েছেন। তাঁদের কবে পুনর্বাসন দেওয়া হবে এবং ভাঙা বাড়ি কবে মেরামতি করা হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁরা নিজেদের দাবিতেই অনড়।
এই মুহূর্তে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে পার্ক সার্কাসের আবাসনেই আছেন তাপস রায়৷ তিনি বলেন, “গত পাঁচ দিন ধরেই চোখের সামনে দেখছি একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ছে। কাল বিদেশী ইঞ্জিনিয়ার ও মাটি পরীক্ষার লোকজনরা এসে পরীক্ষা করে দেখেছেন যে আমাদের ফ্ল্যাটের অবস্থাও ভাল নয়। তাই ঘর ছাড়তে হল”। তিনি আরও বলেন, “কিছু জিনিসপত্র নেওয়া সম্ভব হয়েছে। সব নেওয়া যায়নি৷ খুব জরুরি আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলিই নিয়েছি, বাকি সব কিছুই ফেলে রেখে এসেছি”।